কলকাতা, ২৭ মে: দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস রবিবার রাত ১১টা থেকে বিদ্যুৎ ভবনে ছিলেন। রেমালের দাপটে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় গাছ পড়ে যায়। তবে প্রশাসনিক তৎপরতায় দ্রুত সেই সব গাছ সরিয়ে ফেলা হয়। এদিন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় জেলা প্রশাসনেও। রবিবার রাতে কুলতলির বিডিও সুচন্দন বৈদ্য জানান, কুলতলি ও মৈপীঠে নদীর জলোচ্ছ্বাস বেড়েছে। তবে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কোনও খবর আসেনি। রাতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা কাকদ্বীপের একটি ফ্লাড শেল্টারে পরিদর্শন করেন। এদিন সারারাত কাকদ্বীপ মহকুমা অফিসের কন্ট্রোলে রুমে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রাত পর্যন্ত ৬২৬টি ক্যাম্প খোলা হয়। সেখানে আশ্রয় নেয় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। তাঁদের খাবার সরবরাহের জন্য ৯১টি রান্নাঘর খোলা হয়।
এরপর আজ ঘূর্ণিঝড় নিয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সেখানে ছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ সচিব শ্রী শান্তনু বসুও। রেমাল দুর্যোগে মৃত্যুর দায় নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের কথা তোলা হয় মন্ত্রীর কাছে। তার জবাবে অরূপ বিশ্বাস বলেন,”কে কি বলছে, তার উত্তর কি সব দেওয়া সম্ভব? অনেক লোক অনেক কথা বলে, সব কিছুর কি উত্তর দেওয়া যায়! যেকোনও মৃত্যুই দুৰ্ভাগ্যজনক! এটা নিয়ে রাজনীতি না করাই উচিত। সবাই সরকারে আসে, সরকারে যায়। কিন্তু কাজ করাটা খুব টাফ। বলার জন্য সবাই সব কিছু বলতে পারে। কালকে আমি একটা মিডিয়াতে দেখলাম, একটি গাছ পড়ে যাওয়া নিয়ে অভিযোগ করছেন, ‘গাছ পড়ে গেছে, কিন্তু এখনও গাছটা সরায়নি। আবার পরে বলছেন, এখানে দাঁড়াবার জায়গা নেই, তাই আমি শেডের তলায় দাঁড়িয়ে আছি।’ সুতরাং বলার জন্য সব কিছু বলা যায়। কিন্তু রাজনীতি যাঁরা করেন, তাঁদের একটা জিনিস সব সময় মনে রাখতে হবে, জীবন হাতে নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, একটা দিনের শেষে মনে রাখতে হবে তাঁদেরও স্ত্রী, পুত্র, সন্তান আছে। তাঁদেরও অনেক আশা-আকাঙ্খা আছে। তাঁদেরও জীবনের ঝুঁকি আছে। তাই সমালোচনা করার জন্য সব সময় সমালোচনা করা উচিত নয়। সবাইকে মানবিক হওয়ার প্রয়োজন আছে।’
Advertisement
Advertisement
Advertisement



