• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

এফআইআর হওয়ার সময়ই সুইৎজারল্যান্ডে পালায় নীরব মোদি

দিল্লি- গুজরাতে কোটিপতি হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদি এফআইআর হওয়ার সময়ই সপরিবারে দেশ ছেড়ে সুইৎজারল্যান্ডে পালিয়ে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্কের ২৮০ কোটি টাকার জালিয়াতির ভিযোগ রয়েছে। নীরব মোদি দেশ ছাড়ার অনেক পরে সিবিআই’র কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে। সিবিআই জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি ভারত ছেড়ে সুইৎজারল্যান্ডের পথে পাড়ি দেন নীরব ও তাঁর ভাই, বেলজিয়ামের

ঋণ শোধে ‘বাধা’ দিয়েছে কর্তৃপক্ষই! পিএনবিকেই প্রতারক নীরব মোদির ‘ধমক’

দিল্লি- গুজরাতে কোটিপতি হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদি এফআইআর হওয়ার সময়ই সপরিবারে দেশ ছেড়ে সুইৎজারল্যান্ডে পালিয়ে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্কের ২৮০ কোটি টাকার জালিয়াতির ভিযোগ রয়েছে।

নীরব মোদি দেশ ছাড়ার অনেক পরে সিবিআই’র কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে। সিবিআই জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি ভারত ছেড়ে সুইৎজারল্যান্ডের পথে পাড়ি দেন নীরব ও তাঁর ভাই, বেলজিয়ামের নাগরিক, নিশালও।

Advertisement

নীরবের স্ত্রী অ্যামি (মার্কিন নাগরিক) ও ব্যবসার অংশীদার মেহুল চোকসে দেশ ছাড়েন ৬ জানুয়ারি। এই মেহুল চোকসেই নীরব মোদিদের সংস্থা গীতাঞ্জলী জুয়েলার্সের অন্যতম ভারতীয় অংশীদার। এই চারজনের বিরুদ্ধেই লুক-আউট নোটিশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। কিন্তু তার আগেই পগারপার ব্যাঙ্ক প্রতারক।

Advertisement

উল্লেখ্য নীরব মোদি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ডাভাসে ওয়ার্ড ইকনমিক ফোরামের সম্মেলনেও গিয়েছিলেন। ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসাবে ডাভাসে ছিলেন তিনি।

পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্ক থেকে সিবিআই’র কাছে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে মোট ১১৪০০ কোটী টাকার প্রতারণা করেছে নীরব মোদিরা।

২৮০ কোটি টাকা প্রতারণার ঘটনায় নীরব মোদির বিভিন্ন বাড়ি ও দফতরে আজ সকাল থেকে তল্লাশি শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অন্তত দশটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ছে ইডি অফিসাররা।

মুম্বাইয়ের কুরলায় মোদির বাড়ি, কালো ঘোড়া এলাকায় গীতাঞ্জলি জুয়েলার্সের শোরুম, বান্দ্রা ও লোয়ার প্যারেলে আরও তিনটি সংস্থা সহ গুজরাটের সুরাটেও তিনটি বাড়িতে একযোগে তল্লাশি চালান গোয়ান্দারা। তল্লাশি চালানো হয় দিল্লির চাণক্যপুরী ও ডিফেন্স কলোনী এলাকায়ও।

উল্লেখ্য ফোর্বস পত্রিকার বিচারে ধনী ও ক্ষমতাবানদের তালিকায় নাম ছিল নীরব মোদির। এদিকে কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, নীরব মোদিকে দেশ ছেড়ে পালানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নীরব মোদির ঘনিষ্ঠতার কথা সকলেই জানে। সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে সুযোগ বুঝে দেশান্তরী হয়েছে নীরব মোদি। কংগ্রেসের আরও অভিযোগ সে যখন দেশ ছাড়ছিল, তখন এনডিএ সরকার কার্যত চোখ বন্ধ করেই ছিল। ফলে সহজেই ১২০০ কোটি টাকা তছরূপ করে দেশ ছাড়ার সুযোগ পেয়েছে নীরব মোদি।

Advertisement