কলকাতা, ২১ ফেব্রুয়ারি: সরস্বতী পুজোর পর রাজ্যের প্রকৃতিতে লেগেছে বসন্তের দোলা। শীতের বিদায়ের পালা। রাজ্যে ক্রমশ গরম পড়তে শুরু করেছে। আর এই মরশুমের শুরুতেই হঠাৎ ছন্দপতন। আজ বুধ ও বৃহস্পতিবার পর পর দুই দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের জেরে সেই সম্ভাবনা প্রবল হয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্জার কারণে এই নিম্নচাপ বলয়ের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বুধ ও বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২১ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারিতে জেলায় জেলায় বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি নামতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে থাকবে ঝোড়ো হাওয়া। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে এই বৃষ্টি হবে। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে বৃষ্টি নামবে। তবে জলপাইগুড়ি, মালদা ও দুই দিনাজপুরে বৃষ্টির প্রভাব বেশি থাকবে। এই চার জেলায় আবহাওয়া দপ্তর হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, দুই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়াতেও বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্প্রতি একটি শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে কাশ্মীর ও হিমাচল প্রদেশে প্রবল তুষারপাত হয়েছে। সেই কারণে রাজ্যে বছরের প্রথম কালবৈশাখীর ঝড়বৃষ্টি হওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আজ, বুধবার এবং আগামী কাল বৃহস্পতিবার উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় বজ্রমেঘ থেকে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। দেওয়া হয়েছে বজ্রপাতের সতর্কবার্তাও। সোমবার বিকেল থেকেই দুই বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, বীরভূম, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও নদীয়া জেলায় বজ্রমেঘ সৃষ্টি হয়। এদিকে, বঙ্গোপসাগরের ওপরে একটি উচ্চচাপ বলয় তৈরি হয়েছে। সেজন্য বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প বায়ুমণ্ডলে ঢুকছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হল একটি নিম্নচাপ। ওই সঙ্গে সমুদ্রে উচ্চচাপ বলয়ের জেরে বেশি পরিমাণে জলীয় বাষ্পের প্রবেশে বজ্রগর্ভ মেঘ সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হতে পারে। সেই কারণে বজ্রমেঘ সৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



