মধুরা বলেন, “ ভারতের নেতৃস্থানীয় বিজ্ঞানীদের কাছে অনুরোধ, আমাদের অন্নদাতাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। আমরা তাঁদের অপরাধী ভাবতে পারি না , তাঁদের সঙ্গে সেভাবে আচরণ করতে পারি না। আমাদের সমাধানের পথ খুঁজে বার করতে হবে। আমি মনে করি, যদি এমএস স্বামীনাথনের সম্মান বজায় রাখতে হয় এবং ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে হয়, তা হলে আমাদের কৃষকদের সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে।’’
গত ৯ ফেব্রুয়ারি স্বামীনাথনের ‘ভারতরত্ন’ সম্মানের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। দেশে দুর্ভিক্ষ রুখতে এবং কৃষিক্ষেত্রে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলার লক্ষ্যে ছয়ের দশকের শেষে ভারত সরকার যে ‘সবুজ বিপ্লব’-এর সূচনা করে, তার মূল কান্ডারী ছিলেন স্বামীনাথন। বিশেষ করে পাঞ্জাবে ক্রিসেক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনেন তিনি। সেইসময় ভারতের খাদ্যসঙ্কট এবং খাদ্যশস্যের জন্য অন্য দেশের ওপর নির্ভরতা যে অনেকটাই কমানো গিয়েছিল, তা আজও কেউ অস্বীকার করতে পারেন না ।
Advertisement
কৃষকরা মঙ্গলবার থেকে যে সব দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন স্বামীনাথনকে তার দিশারী বলা যায়। তিনি ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্য প্রণয়ন করেছিলেন এবং তা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছিলেন। স্বামীনাথন কমিশনের সেই প্রস্তাব মেনে নেওয়ার দাবিও করছেন কৃষকরা ।
Advertisement
Advertisement



