দিল্লি, ২ ফেব্রুয়ারি: ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেনকে পাঁচ দিনের ইডি হেফাজত দিল হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত জমি কেলেঙ্গকারির একাধিক মামলায় দীর্ঘ জেরার পর গত বুধবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইডি। এই মামলায় তদন্তের জন্য দশ দিনের হেফাজতে চেয়েছিল ইডি। কিন্তু আদালত শেষ পর্যন্ত পাঁচ দিনের হেফাজত দিয়েছে। এর আগে তাঁকে রাঁচির পিএমএলএ আদালত এক দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত দেয়।
শুনানির সময় ইডি আদালতে জানায়, জমি জালিয়াতির মামলায় তাঁর বাসভবন থেকে ৩৬ লক্ষ টাকার বেশি নগদ সহ বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে। যা এই দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতে জানিয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে সাড়ে আট একর জমি দুর্নীতির মামলাটির তদন্ত শুরু হয়। গত বছর ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিলে একাধিক জমি মামলায় একটি অভিযান চালানো হয়। জমিগুলি রাজস্ব বিষয়ক সাব ইন্সপেক্টর ভানুপ্রতাপ প্রসাদের দখলে ছিল। এই জমি দুর্নীতিতে একটি বড় সিন্ডিকেট কাজ করছিল। ভানুপ্রতাপ প্রসাদ এবং অন্যরা সেই সিন্ডিকেটের অংশ। যারা জোরপূর্বক সম্পত্তি দখল সহ একাধিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত। সব পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখা যাচ্ছে, হেমন্ত সোরেন এই দুর্নীতিতে অর্থ পাচার ও জমি দুর্নীতি মামলায় প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। এবং ভানুপ্রতাপ ও অন্যরাও এই দুর্নীতির অংশীদার। পিএমএলএ আইনের সেকশন ৩ মোতাবেক এটা ধরে নেওয়া যায় যে, সোরেন এই অর্থ দুর্নীতি কাণ্ডে অন্যতম অপরাধী।
Advertisement
এদিকে তাঁর গ্রেপ্তারির বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন হেমন্ত সোরেন। ইডির গ্রেফতারির বিরুদ্ধে তাঁর দায়ের করা মামলা আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশ এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। কিন্তু দেশের শীর্ষ আদালত মামলাটিকে ঝাড়খন্ড হাইকোর্টের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাঁকে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।
Advertisement
Advertisement



