আহমেদাবাদ, ২৭ নভেম্বর – অসময়ের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গুজরাট। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে বৃষ্টি এবং বজ্রপাতে এক রাতের মধ্যেই গুজরাতে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। গুজরাটের বিভিন্ন জেলা থেকে এই মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুধু মানুষের মৃত্যুই নয়, বিপুল পরিমাণ শস্যও নষ্ট হয়েছে এই অকাল বৃষ্টির কারণে।
স্টেট এমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে, রবিবার গুজরাতের ২৫২টি তালুকের মধ্যে ২৩৪টিতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়। বিশেষত সুরাট, সুরেন্দ্রনগর, খেদা, তাপি, ভারুচ এবং আমরেলির মতো জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে, যার পরিমাণ ১৬ ঘন্টায় ৫০ থেকে ১১৭ মিলিমিটার পর্যন্ত। বৃষ্টির সঙ্গে ঘন ঘন বজ্রপাতও হয়। সেই বজ্রপাতে রাজ্যজুড়ে প্রাণ হারান মোট ২০ জন মানুষ। স্টেট এমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের এক আধিকারিক জানান, ভারুচে ৩ জন, তাপিতে ২ জন, দাহোদ জেলায় ৪ জন এবং আহমেদাবাদ, আমরেলি, বানাসকাঁথা, বোটাদ, খেদা, পঞ্চমহল, সুরাট, মেহসানা, দ্বারকা এবং সুরেন্দ্রনগরে ১ জন করে মারা গিয়েছেন।
Advertisement
এর পাশাপাশি প্রচুর ক্ষতি হয়েছে চাষেরও। বিপুল পরিমাণ শস্য নষ্ট হয়েছে বলে খবর মিলেছে। বৃষ্টির কারণে একাধিক কারখানায় বন্ধ রাখতে হয়েছে। প্রায় ৩৯ টি পশু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
Advertisement
বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার রাতে এক্স-এ পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনের তরফে ত্রাণ দেওয়া শুরু হয়েছে। গুজরাতি ভাষায় তিনি লিখেছেন, “গুজরাতের বিভিন্ন শহরে খারাপ আবহাওয়া এবং বজ্রপাতের কারণে বহু মানুষের মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই দুঃখজনক ঘটনায় যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের এই অপূরণীয় ক্ষতির জন্য আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণ কাজ শুরু করেছে। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর-পূর্ব আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় অবস্থানেয় প্রভাবে সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছঅঞ্চলে এই অসময়ে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সোমবার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খানিকটা কমতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ গুজরাট এবং ভাবনগর-আমরেলি জেলাতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। গুজরাটে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
Advertisement



