মুম্বই, ১৩ সেপ্টেম্বর– মহারাষ্ট্রে আখ চাষ নিয়ে অশনি সংকেত গুনছে কেন্দ্র সরকার। সরকারের শিল্প দফতরের কর্তারাই সংবাদসংস্থা জানিয়েছেন, জমি খরায় শুকিয়ে কাঠ। তাতে চিনি উৎপাদন ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
দেশ এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল কোভিডের আগে ২০১৯ সালে এরকম পরিস্থিতি হয়েছিল। তার পর ফের সেই আশঙ্কা ঘনাচ্ছে। গোটা দেশেই আগস্ট মাসে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় কম। গত এক শতাব্দীতে অগস্ট মাসে এত কম বৃষ্টি হয়নি। হিসাব মতো ৫৯ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই কম বৃষ্টিপাতের কারণে অন্যান্য কৃষিজ উৎপাদন কমার আশঙ্কাও রয়েছে।
Advertisement
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের উদ্বেগ হল, চিনির উৎপাদন কম হলে তার দাম বাজারে বাড়বে । কারণ, চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকবে। সেই পরিস্থিতি খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়লে মূদ্রস্ফীতিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। ইতিমধ্যে টমেটোর বাড়তি দামের কারণে মুদ্রাস্ফীতির চড়া হারের অভিজ্ঞতা সরকারের রয়েছে।
Advertisement
আবার এই পরিস্থিতি ঘরোয়া চিনি উৎপাদক সংস্থাগুলির মুনাফা বাড়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বলরামপুর চিনি, দ্বারিকেশ সুগার, শ্রী রেনুকা সুগারস, ডালমিয়া ভারত সুগার ইত্যাদি। মুনাফা ভাল হলে ঠিক সময়ে তারা কৃষকদের টাকা মিটিয়েও দিতে পারবে।
আর সাত মাস বাদে লোকসভা ভোট। তার ফলে এখন অত্যবশ্যকীয় পণ্যের মূল্য নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নেওয়ার অবস্থাতেই নেই কেন্দ্র। তাই সম্প্রতি পেঁয়াজ রফতানির উপর উচ্চ হারে বহিঃশুল্ক চাপানো হয়েছে। এবার লাইনে রয়েছে চিনি। সেই দিকেই নজর রেখে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে বলা হচ্ছে, পরিস্থিতি এমন আশঙ্কাজনক হলে চিনি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে সরকার। বা চিনির উপর অতিরিক্ত হারে বহিঃশুল্ক চাপানো হতে পারে।
Advertisement



