দিল্লি, ১৫ মে – কর্নাটকে ভোটে বিজেপির বিপর্যয়ের পর এবার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হল। আর তার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে মোদি সরকারের নবম বর্ষপূর্তিকে। কংগ্রেসের সাফল্যের তোড়ে ২২৪ আসনের কর্নাটকে ষাটের ঘরে নেমে দাঁড়িয়েছে পদ্মাশিবির। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির এই হার অশুভ লক্ষণ বলে মনে করছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে সর্বশক্তি দিয়ে প্রচারে নামছে বিজেপি। আগামী ৩০ মে মোদি সরকারের নবম বর্ষপূর্তিতে কেন্দ্রের ‘সাফল্য’ প্রচারের জন্য দেশ জুড়ে প্রচারসভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত, অর্থাৎ পরবর্তী এক মাস ধরে চলবে নিরবচ্ছিন্ন প্রচার কর্মসূচি।
চলতি বছরে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের সম্ভাবনা। তারপর বছর ঘুরতেই লোকসভা ভোট। কর্মীদের চাঙ্গা করতে এবার নয়া উদ্যোগ নিল প্রধানমন্ত্রীর দল। কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্য মানুষের কাছে তুলে ধরতে বিশেষ প্রচারসূচির সিদ্ধান্ত নিল পদ্ম শিবির।
Advertisement
আগামী ৩০ মে থেকে ৩০ জুন- এই এক মাসব্যাপী বিজেপি দেশজুড়ে নতুন করে প্রচার অভিযানে নামছে গেরুয়া শিবির। শুরুর ২ দিন নিজে জনসভা করবেন নরেন্দ্র মোদি।। বিজেপির পরিকল্পনা—মোট ৫১টি বড় জনসভা হবে। যেখানে যোগ দেবেন দলের একেবারে শীর্ষস্থানীয় নেতারা। দেশ জুড়ে ৩৯৬টি লোকসভা আসনে জনসভায় অংশ নেবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির জাতীয় স্তরের নেতারা।
Advertisement
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ক্রীড়াবিদ, শিল্পী, শিল্পপতি এবং জওয়ানদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। এই কর্মসূচি শুরুর আগে আগামী ২৯ মে বিজেপির তরফে প্রতি রাজ্যে সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছে।মূলত এই প্রচারাভিযানকে ত্রিস্তরীয় করতে চাইছে বিজেপি। ২৯ মে সব রাজ্য কমিটি নিজেদের রাজ্যের কর্মসূচির জানাবে।
কর্নাটকে মোদি-শাহের উগ্র হিন্দুত্ব মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী একমাস বিজেপির প্রচারের অভিমুখ কী হয় সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
Advertisement



