দিল্লি,২৭ মার্চ — মোদি পদবী নিয়ে মন্তব্যের জেরে আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে সাংসদ পদ হারাতে হয়েছে রাহুল গাঁধীকে। যেভাবে কংগ্রেস সাংসদের পদ গিয়েছে, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধীতায় সরব মহল বিরোধীরাই। রাহুলের সাংসদ পদ বাতিলের দিনই প্রথমেই যা নিয়ে আপত্তি তুলে মোদি সরকারকে নিশানা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । পরে আক্রমণ শানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কয়েকদিন আগে পর্যন্ত কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধীতার হাত ধরা নিয়ে ভিন্ন অবস্থান ছিল ঘাসফুল শিবিরের। কালীঘাটে তৃণমূল সুপ্রিমোর নেতৃত্বে বৈঠকের পর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ শানিয়েছিলেন, বিরোধী জোট গঠনে কংগ্রেসের বড় দাদাসুলভ আচরণ গ্রহণযোগ্য নয় বলেই। যদিও রাহুল গাঁধীর সাংসদ পদ খারি্জ হওয়ার পরই বদলেছে তৃণমূলের অবস্থান। কংগ্রেসের পাশে তৃণমূল দাঁড়ানোয় বিরোধীদের একজোট হয়ে বৈঠক ও বিরোধীতার রূপরেখা তৈরির জন্য বৈঠকে তৃণমূলকে ডাক পাঠায় কংগ্রেস। এবার যা গ্রহণ করেছে তৃণমূল।
এদিকে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে তথ্য বদল করেছেন রাহুল গান্ধী। ওয়েনাডের কংগ্রেস সাংসদ পরিচয়ের বদলে লেখেন ডিস’কোয়ালিফায়েড এমপি। রাহুলের ট্যুইটার হ্যান্ডল নিয়ে জল্পনার আবহেই, রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে কংগ্রেসের সঙ্কল্প সত্যাগ্রহ কর্মসূচি ঘিরে শুরু হয় টানাপোড়েন। ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দেখিয়ে প্রথমে অনুমতি দিতে চায়নি দিল্লি পুলিশ। বিস্তর চাপানউতোর পরে সংকল্প সত্যাগ্রহের অনুমতি মেলে। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ ইস্যুতে এবার মোদি সরকারকে নিশানা করলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তাঁর প্রশ্ন, অতীতে বিজেপির একাধিক নেতা গান্ধী পরিবার নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্য করলেও, কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ?
Advertisement
Advertisement
Advertisement



