৮ মার্চ — মাঝরাতের নাটক শেষে, অনুব্রত কে ১০ই মার্চ পর্যন্ত ইডি র হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিলেন বিচারক রাকেশ কুমার । এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আর্জি জানিয়েছিল অনুব্রতকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে নিতে। কিন্তু দু’ পক্ষের সওয়াল জবাবের পর বিচারক ৩ দিন হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁর এজলাসে শুনানি নিয়ে চলে মহানাটক। রাত ১১ টা ২০ নাগাদ রাকেশ কুমারের এজলাসে ভার্চুয়ালি শুরু হয় শুনানি।
Advertisement
ইডির আইনজীবী নীতেশ রানা ১৪ দিনের জন্য কেষ্টকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান। তবে অনুব্রতের আইনজীবী মুদিত বলেন, ‘‘এই মামলায় ভার্চুয়াল হাজিরা হওয়া উচিত নয়। সশরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা।’’ ওই আইনজীবীর অভিযোগ, মক্কেলের সঙ্গে তাঁর কোনও কথা বলা হয়নি। তিনি কথা বলার সুযোগই পাননি। অনুব্রতের আইনজীবী এ-ও জানান,টানা সফর করে অনুব্রত অসুস্থ। তাঁকে সময় দেওয়া হোক। এখন হাজিরা বাতিল করা হোক বলে আর্জি জানান মুদিত। এই অবস্থায় মাঝরাতে হাজির করানো উচিত নয় অনুব্রতকে। অন্তত সকাল পর্যন্ত সময় দেওয়া হোক।’’
Advertisement
ইডির আইনজীবী যদিও পাল্টা সওয়াল করেন। তিনি বলেন, অনুব্রতের আইনজীবীই তো সশরীরে হাজির হননি!’’ বিচারকের উদ্দেশে ইডির আইনজীবী বলেন,‘তা হলে ৩০ মিনিট সময় দিন। অনুব্রতকে নিয়ে (আপনার) বাড়ি আসছি। এর পরেই ঠিক হয় অনুব্রতকে নিয়ে বিচারক রাকেশ কুমারের বাড়িতে যায় ইডি।
শেষে রাত ১টা নাগাদ তারা পৌঁছয় অশোকবিহারে বিচারক রাকেশ কুমারের বাড়িতে। অনুব্রতের আইনজীবীও সঙ্গে ছিলেন। বিচারকের সামনে সশরীরে হাজির করানো হয় অনুব্রতকে। রাত ১টা ১০ নাগাদ সওয়াল শুরু করে দু’পক্ষ। ইডির আইনজীবী বিচারককে জানান, গরু পাচারের টাকা কোথায় গিয়েছে, তা জানার জন্য হেফাজতে নিয়ে অনুব্রতকে জেরা করা দরকার। সওয়াল জবাব শুরুর কিছু ক্ষণ পরেই অনুব্রতকে ৩ দিন ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
Advertisement



