• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

কর্নাটকের প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলে শুধু পড়াবেই না বকা-প্রশংসাও করবে রোবট

বেঙ্গালুরু, ২৭ ফেব্রুয়ারি– গোটা বিশ্বের কাছে উদাহরণ সৃষ্টি করল কর্ণাটকের প্রত্যন্ত গ্রামের একটি স্কুল। স্কুলে বাচ্চাদের টেকনোলজির পরিচয় দিতে আস্ত রোবট বানিয়ে ফেলেছেন স্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। এই রোবট একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকার মতোই পড়াবে, পড়া ধরবে আবার পড়া না পারলে বাচ্চাদের বকাও দেবে। ভাল পড়াশোনা করলে প্রশংসা করবে। কর্নাটকের উত্তর কন্নড় জেলায় এই রোবট বানিয়েছেন

বেঙ্গালুরু, ২৭ ফেব্রুয়ারি– গোটা বিশ্বের কাছে উদাহরণ সৃষ্টি করল কর্ণাটকের প্রত্যন্ত গ্রামের একটি স্কুল। স্কুলে বাচ্চাদের টেকনোলজির পরিচয় দিতে আস্ত রোবট বানিয়ে ফেলেছেন স্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। এই রোবট একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকার মতোই পড়াবে, পড়া ধরবে আবার পড়া না পারলে বাচ্চাদের বকাও দেবে। ভাল পড়াশোনা করলে প্রশংসা করবে।

কর্নাটকের উত্তর কন্নড় জেলায় এই রোবট বানিয়েছেন অক্ষয় মাশেরকার নামে একজন শিক্ষক। তিনি ফিজিক্সের গবেষক। চৈতন্য প্রি-ইউনিভার্সিটির ফিজিক্সের অধ্যাপক। গ্রামের স্কুলে বাচ্চাদেরও পড়ান। শিক্ষক জানিয়েছেন, তাঁর তৈরি রোবটের নাম ‘শিক্ষা’। খুব উন্নত প্রযুক্তির রোবট নয়, তবে গ্রামের স্কুলে বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য বিশেষভাবে প্রোগ্রামিং করা হয়েছে এই রোবটকে। মাথা ও হাত নাড়াতে পারবে এই রোবট। সব বিষয়ে পড়াতে পারবে, প্র্যাকটিকাল ক্লাসও নেবে। বাচ্চাদের পড়া ধরবে, পড়া পারলে হাত তুলে প্রশংসা করবে আবার পড়া না পারলে বকাও দেবে।

শিক্ষক বলছেন, করোনার সময় দু’বছর অনলাইনে পড়াশোনা করে বাচ্চারা খুব ক্লান্ত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গ্রামীণ এলাকায় গরিব, দুঃস্থ শিশুরা মোবাইল না থাকার কারণে অনলাইন ক্লাস করতে পারেনি, ফলে তারা অনেকটাই পিছিয়ে গেছে। তাছাড়া অনলাইন ক্লাসে সেভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়তেও পারেনি অনেকে। পড়াশোনার যে ধারাটা এতদিন ধরে চলে আসছিল, তা করোনার সময় বদলে যায়। অনলাইন স্টাডি নিয়ে ধারণা না থাকায় বাচ্চারা এই ব্যাপারটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি। সে কারণে শিক্ষাক্ষেত্রে একটা বদল আনার জন্যই রোবোটিক টেকনোলজির ব্যবহার করতে চলেছেন তিনি। এতে প্রযুক্তি নিয়ে বাচ্চাদের ধারণাও তৈরি হবে।

Advertisement

Advertisement

Advertisement