• facebook
  • twitter
Wednesday, 17 December, 2025

ভারতীয় নাগরিকত্ব দাবি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের

ইসলামাবাদ ,১৮ জানুয়ারী — বিধ্বস্ত পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা। ঋণের ভারে জর্জরিত পাকিস্তান। দেশ চালাতে ব্যর্থ সরকার, ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে,পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা ভারতের নাগরিকত্ব নিতে চাইছেন বলে দাবি পাকিস্তানি সমাজকর্মী আমজাদ আয়ুব মির্জার। পাকিস্তানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। পাওয়া যাচ্ছে না দরকারি জিনিসপত্র। আর সেই কারনেই ভারতে আশ্রয়

ইসলামাবাদ ,১৮ জানুয়ারী — বিধ্বস্ত পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা। ঋণের ভারে জর্জরিত পাকিস্তান। দেশ চালাতে ব্যর্থ সরকার, ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে,পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা ভারতের নাগরিকত্ব নিতে চাইছেন বলে দাবি পাকিস্তানি সমাজকর্মী আমজাদ আয়ুব মির্জার। পাকিস্তানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। পাওয়া যাচ্ছে না দরকারি জিনিসপত্র। আর সেই কারনেই ভারতে আশ্রয় নিতে চাইছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা।
আয়ুব মির্জার ভাষায় , “খাবারের সন্ধানে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে একদিনেই অনেকটা বেড়েছে খাদ্যসামগ্রীর দাম। আটার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০০ টাকা। এমনকি সরকারের তরফে রেশনের ব্যবস্থাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মানুষ বিরক্তির চরম সীমায় পৌঁছে গেছে। পাক অধিকৃত গিলগিট-বালুচিস্তানের প্রত্যেকটি শহরেই প্রতিবাদে সরব হয়েছে সাধারণ মানুষ। পড়ুয়া ও মহিলারাও পথে নেমে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন।” মির্জা আরও জানান, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের যুবসমাজের মুখে এখন নতুন স্লোগান, “টুটে রিশ্তে জোড় দো”। অর্থাৎ একটা সময়ে ভারতের অংশে থাকা অঞ্চলগুলি আবার কাশ্মীর ও লাদাখের সঙ্গে জুড়ে যাক।
জানা গিয়েছে, ঋণ মেটানোর বোঝা চেপেছে পাক জনসাধারণের ঘাড়েই। আটা-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যবস্তুর দাম প্রায় ১৩৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অন্য এক সমস্যাও রয়েছে। খালসা সরকার করের দ্বারা গিলিগিট ও বালুচিস্তানের যেকোনও পরিত্যক্ত জায়গায় সেনা ছাউনি বানানোর অধিকার রয়েছে পাকিস্তানের। সব মিলিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ জমা হচ্ছিল সাধারণ মানুষের। আর্থিক বিপর্যয়ের জন্য সরকারের প্রতি ক্রোধ বেড়েছে।

চিন-সহ একাধিক দেশ থেকে বিপুল পরিমাণে ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার থেকেও ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় বন্যার পরে। ভয়াবহ বন্যায় ডুবে যায় দেশের এক তৃতীয়াংশ। তার জেরে নিঃশেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের বিদেশী মুদ্রার ভাণ্ডার। বন্যার পর পাক অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ৯০০ কোটি ডলার দিয়ে সাহায্যের প্রতিশ্রতি দেয় পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে।

Advertisement

Advertisement

Advertisement