আসলে তিনি অমরপুরী। পোশাকি নাম ‘জিলিপি বাবা’র। ৬৩ বছর বয়সি অমরপুরী হরিয়ানার ফতেহবাদের বাসিন্দা। ফতেহবাদের তোহানার বালকনাথ মন্দিরের প্রধান সাধক হিসেবে পরিচিত ছিল সে। সূত্রের খবর, বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য এলাকার মহিলারা তার কাছে যেতেন। সেই সময় তাঁদের মাদক খাইয়ে ধর্ষণ করত জিলিপি বাবা। শুধু তাই নয়, সেই ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করে রেখে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা চেয়ে নির্যাতিতা মহিলাদের ব্ল্যাকমেল করত সে। এমনকী, একজন নাবালিকাও ২ বার তার লালসার শিকার হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০১৮ সালে এক মহিলা তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করাতেই বাবাজির পাপের ভান্ডার ভেঙে পড়ে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ গ্রেফতার করে জিলিপি বাবাকে। তার মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করার পরই পুলিশের চোখ চড়কগাছ। মোবাইলটি থেকে ধর্ষণের ১২০টি ভিডিও পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং পকসো আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়। সেই থেকে এতদিন জেলেই ছিল অভিযুক্ত।
Advertisement
তার বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষী দেন ৬ জন নির্যাতিতা। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের বয়ানের ভিত্তিতে গত ৫ জানুয়ারি জিলিপি বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করে একটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। বিচারে ভিন্ন ভিন্ন দুটি মামলায় তাকে দুবার ৭ বছরের জেল এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারায় রুজু হওয়া একটি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেন বিচারপতি। সবকটি সাজা মিলিয়ে তাকে মোট ১৪ বছর হাজতেই কাটাতে হবে বলে জানানো হয়।
Advertisement
————————–
Advertisement



