ঘটনাটি ঘটেছে ঘোটকি জেলার কাটচা এলাকায়। কিছুদিন আগেই তিনজনকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছিল এলাকার ডাকাতদের বিরুদ্ধে। অপহৃতদের খুঁজে পেতে ডিএসপি আবদুল মালিক ভুট্টোর নেতৃত্বে একটি দল গঠন করা হয়। ডাকাতদের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির বাড়ির কাছে অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করে স্থানীয় পুলিশ। সেই খবর পেয়েই মাঝরাতে ঘুমের মধ্যে হামলা চালায় ডাকাত দল।
জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫০ জন ডাকাত একসঙ্গে পুলিশ ক্যাম্পে হামলা করে। তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্রের সামনে একেবারেই পেরে ওঠেননি পুলিশকর্মীরা। তাঁদের লক্ষ্য করে প্রায় ২৫টি রকেট ছোঁড়া হয়। তাছাড়াও লাগাতার গুলিবৃষ্টি করা হয় পুলিশকর্মীদের দিকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আবদুল মালিকের। তাঁর সঙ্গে আরও ছয় পুলিশ আধিকারিকও প্রাণ হারান। সেই সঙ্গে অপহরণ করা হয় কুড়ি জন পুলিশকর্মীকে।
Advertisement
সাতজনের পুলিশের মৃতদেহ নিজেদের ডেরায় নিয়ে গিয়ে উল্লাস করে ডাকাতরা। দেহ ফিরিয়ে দিতেও চায়নি তারা। পরে অবশ্য এক প্রভাবশালী ব্যক্তির কথায় রাজি হয়ে দেহ ফেরত দেয় ডাকাতদল। প্রাথমিক অনুমান, কিছুদিন আগে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় এক ডাকাতের। তার প্রতিশোধ নিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। আপাতত ডাকাতদের পায়ের ছাপ খুঁজে বের করে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে চেষ্টা করছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের এই এলাকায় বরাবরই ডাকাতদের উপদ্রব রয়েছে। বহুবার টার্গেট কিলিং, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ
Advertisement
Advertisement



