আন্দামান সাগরের ওপরে তৈরি নিম্নচাপ শুক্রবার রাতেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর মধ্য বঙ্গোপসাগরে রবিবারই আছড়ে পড়বে ঘুর্ণিঝড়। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অশনি’। এই ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে আগামী সপ্তাহের সোমবার থেকে শুক্রবার ব্যাপক বৃষ্টিপাত হবে।
আলিপুর আবহাওয়া অফিস থেকে এই ‘অশনি সংকেত’ মেলার পরে শুক্রবারই দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি বৈঠক সেরে ফেলল নবান্ন।
Advertisement
এদিন নবান্ন থেকে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী দক্ষিণবঙ্গের জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে জেলাগুলিকে একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়।
Advertisement
নবান্নেন তরফে বলা হয়েছে দুর্বল বাঁধগুলিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামত করতে হবে। উপকূলবর্তী জেলার কন্ট্রোলরুমগুলিকে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণের বন্দোবস্ত রাখতে বলা হয়েছে।
বিপর্যয় মোকাবিলা দল, এনডিআরএফ’কেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। প্রয়োজনে মানুষকে নিচু জায়গা থেকে উঁচু জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে মৎস্যজীবীদের দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এর আগে আমফান, বুলবুলের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা রয়েছে রাজ্যের। পরপর দু’বছর দু’টো ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল। আমফান থেকে অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করে দুর্যোগের কোনও পূর্বাভাস পেলেই আগাম পদক্ষেপ শুরু করে দেয় নবান্ন।
সেই মতো শুক্রবারও ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র আসার খবর পেয়ে প্রস্তুতি নিতে শুরু করল নবান্ন। পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ১০ মে’র মধ্যে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’।
তবে স্থলভাগে আছড়ে পড়লে ঘূর্ণিঝড়টি কোন পথে যাবে এবং কেমন ক্ষয়ক্ষতি ঘটাবে সেই বিষয়ে আবহাওয়া দফতর সঠিকভাবে কিছু জানায়নি। ওড়িশা উপকুলে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে বিহার , ঝাড়খণ্ডে তুমুল বৃষ্টিপাত হবে। এছাড়া কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কর্ণাটকেও ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Advertisement



