বগটুই রেশ এখনও কাটেনি। বগটুই জুড়ে এখন আতঙ্ক আর উদ্বেগ রয়েছে। আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। অনেকে গ্রাম ছেড়েছেন।
চাপা আতঙ্ক আর উদ্বেগ তাড়া করে বেড়াচ্ছে এখানকার মানুষদের । সব মিলিয়ে বগটুইয়ের অবস্থা এখনও ছন্নছাড়া।
Advertisement
সিবিআই-পুলিশ নেতা-কর্মীদের আনাগোনা। এমন পরিস্থিতির মধ্যে বেজে উঠেছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দামামা। গ্রামে আছে পরীক্ষার্থী।
Advertisement
এবার সেইসব পরীক্ষার্থীদেরই সরিয়ে আনা হল রামপুরহাটের এক বেসরকারি স্কুলে বীরভূম জেলা প্রশাসনের নির্দেশের পরই তৎপরতা চোখে পড়ে।
বৃহস্পতিবার কাটুই গ্রামের সকল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে বাসে করে রামপুরহাটে নিয়ে আসা হল।
সেখান থেকেই পড়াশুনা ও পরীক্ষা দেবে তারা। আর সব ব্যবস্থাই করবে প্রশাসন। শনিবার থেকে শুরু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা।
যাতে পরীক্ষার্থীরা কোনওরকম অসুবিধার মধ্যে না পড়ে তাই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।
জানা গেছে, বগটুই গ্রামে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬ জন। কিন্তু চারজন ফর্ম ফিলআপ করেনি। ২২ জনকে নিয়ে আসা হল রামপুরহাটে।
উল্লেখ্য, পরীক্ষার্থীদের মনেও এখনও সেই বিভীষিকা কাটেনি। উঁকি দিচ্ছে ভয়। তার মধ্যেও জীবনের অন্যতম পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল তারা।
জেলা প্রশাসন গ্রামে গিয়ে গতকালই তাদের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেন। তাঁরই নির্দেশে আজ ২২ জনকে রামপুরহাটে নিয়ে আসা হল।
রামপুরহাট মহকুমা দফতরের আধিকারিকরা পরীক্ষার্থীদের পাশেও উপস্থিত ছিলেন পরীক্ষার্থীদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য তাদের উৎসাহিত করার চেষ্টা করেন আধিকারিকরা।
রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সৈয়দ সিরাজকেও ওই দিন ওখানে দেখা যায়। রামপুরহাটের বেসরকারি স্কুলের আবাসনে থেকে পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেবে।
Advertisement



