বাড়িতেই ছিলেন গত কয়েকদিন। জনসমক্ষে বেরননি। তারপরও করোনা ভাইরাস থাবা বসাল অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর শরীরে। কোভিড পজিটিভ মিমি। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে মৃদু উপসর্গ নিয়ে বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি।
টুইট করে নিজেই দুঃসংবাদ জানিয়েছেন। অভিনেত্রীর আবেদন, সকলে মাস্ক পরুন, সুস্থ থাকুন। টুইটে মিমি জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন তিনি কোথাও যাননি, বাড়িতে ছিলেন।
Advertisement
তবে তারপরও মৃদু উপসর্গ থাকায় করোনা পরীক্ষা করান। বুধবার সন্ধে নাগাদ রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই চিকিৎসককে ফোন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেন মিমি চক্রবর্তী।
Advertisement
আপাতত হোম আইসোলেশনে রয়েছেন সাংসদ অভিনেত্রী। বুধবারই টলিপাড়ার আরও অনেকের কোভিড পজিটিভ হওয়ার রিপোর্ট মেলে। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে সস্ত্রীক করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন টলিউড পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। টলিপাড়ায় মারণ ভাইরাসের থাবা চওড়া হওয়ায় এদিন সকালে RT – PCR টেস্ট করান অভিনেতা সাংসদ দেব।
গত বছরের জুন মাসে করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন মিমি। কসবার সেই টিকাকরণ শিবিরে তিনি জালিয়াতির শিকার হন। ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে শিবিরে কোভিড টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন যাদবপুরের সাংসদ।
কিন্তু পরে জানতে পারেন, কলকাতা পুরসভার অনুমতি ছাড়াই টিকাকরণ শিবিরটি চলছিল। এই অভিযোগে ভুয়ো আমলা দেবাঞ্জন দেবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভুয়ো টিকাকরণ নিয়ে দীর্ঘ মামলা এখনও চলছে। তারকা সাংসদ নিজে টিকা জালিয়াতির শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে সেসময় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মিমি চক্রবর্তী জানান, টিকা নেওয়ার পর মোবাইলে মেসেজ না আসার পরই সন্দেহ শুরু হয়।
ক্যাম্পে গিয়ে সার্টিফিকেট চাইলে বলা হয় তিন-চারদিন পর সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে। তাতেই সন্দেহ আরও বাড়ে। এরপরই নাকি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে টিকাকরণ প্রক্রিয়া থামিয়ে দেন মিমি।
তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন মিমি। আর নতুন বছরের শুরুতেই তাঁর শরীরে থাবা বসাল কোভিড -১৯। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য টুইটে তিনি লিখেছেন।
Advertisement



