ক্রমশ ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার ফের বাজার থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ করল রাজ্য সরকার। চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই সরকারের ঋণের পরিমাণ পৌঁছবে ৫ লক্ষ কোটি টাকা। বাজার থেকে দেশের যে সাতটি রাজ্য ঋণ নিচ্ছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ঘাড়ে ঋণের বোঝা সবচয়ে বেশি।
২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার সময়ে রাজ্যের ঘাড়ে বকেয়া ঋণের পরিমাণ ১ লক্ষ ৮৭ হাজার কোটি টাকা। দশ বছরে তা দ্বিগুণের বেশি হতে চলেছে।
Advertisement
নবান্ন সূত্রে খবর, অর্থ সংকটে থমকে গিয়েছে রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল কলেজ সংস্কারের কাজ থমকে গিয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে জানাচ্ছেন সরকারের ভাড়ার শুন্য।
Advertisement
স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ারও টাকা নেই সরকারের আয়ের মোটা অঙ্ক চলে যাচ্ছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ সামাল দিতে এরসঙ্গে রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রাখতে গিয়ে এখন শাসক সরকারের জেরবার অবস্থা।
পশ্চিমবঙ্গ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মঙ্গলবার সরকারের দু’হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে তোলার কথা ছিল কিন্তু তার চেয়েও পাঁচশো কোটি টাকা বেশি ঋণ করেছে নবান্ন।
গত ৩০ নভেম্বর রাজ্য সরকার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। যার বেশিরভাগ ঋণপত্রই কিনে নিয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক। সূত্রের খবর, বাজার নেওয়ার থেকে ঋণ জন্য পশ্চিমবঙ্গকে তুলনামূলকভাবে বেশি সুদে ঋণ নিতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার বাকি যে ছ’টি রাজ্য বাজার থেকে ঋণ নিয়েছে তার মধ্যে বিহার, কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ু এক হাজার কোটি করে তুলেছে। পুঁদুচেরি, গোয়া, মেঘালয় তুলেছে একশো কোটি করে। কিন্তু ঋণ নেওয়ার অঙ্কে সব রাজ্যকে ছাপিয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গ।
Advertisement



