বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’। বাংলায় ফের দুর্যোগের আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক ডেকেছেন জাওয়াদ মোকাবিলায়। অন্ধ্র এবং ওড়িশা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কী কী বন্দোবস্ত নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়েই আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে।
এদিক ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব পড়তে পারে বাংলাতেও। উপকূলে তুমুল ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় সন্ধে ছ’টায় নবান্নে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। উপকূলবর্তী জেলার জেলাশাসকরা ভার্চুয়ালি সেই বৈঠকে যোগ দেন।
Advertisement
জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের আগে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দক্ষিণবঙ্গের বারোটি জেলায় এনডিআরএফ বা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
Advertisement
এনডিআরএফ-এর মোট আটটি দল এই কাজে নিযুক্ত রয়েছে। কল্যাণী, কাকদ্বীপ, দীঘা, সন্দেশখালি, আরামবাগ ও খড়গপুরে দায়িত্ব নিয়েছে। কলকাতায় রয়েছে এনডিআরএফ-এর দু’টি বাহিনী।
মুম্বই থেকে ফিরেই ঘূর্ণিঝড় ও তার মোকাবিলায় নবান্নে বৈঠকে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ নিয়ে সতর্ক নবান্ন। বৃহস্পতিবার থেকেই সুন্দরবনে মাইকিং শুরু হয়েছে।
শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যাঁরা সমুদ্রে রয়েছেন, তাদেরও ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরে সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারই এনডিআরএফ এর আটটি দল মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্যে। আজ শুক্রবারের মধ্যে আরও আটটি দল এসে যাবে।
এছাড়া প্রতিটি জেলায় বিভিন্ন ব্লক, এসডিও এবং ডিএম অফিসে ফ্লাড সেন্টার তৈরি করা হয়েছে নিচু এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ক্ষতি এড়াতে ফসল তুলে নিতে বলা হয়েছে কৃষকদের।
Advertisement



