কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সুষ্ঠু ভোট না চাইলে কোনও বাহিনী দিয়েই ভোট করে লাভ নেই বলে মনে করছে আলিমুদ্দিন। আবার ডিসেম্বরে পুরভোট হচ্ছে ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বামেরা। আগামীকাল থেকে দিল্লিতে বসছে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। তারপরে বামফ্রন্টের বৈঠক ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর।
বুধবারই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পক্ষে সওয়াল করেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর থেকেও যে বামেরা আস্থা হারাচ্ছে বাম নেতৃত্বের বক্তব্যেই তা স্পষ্ট। অনেকক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় বাহিনী সুষ্ঠ ভোটের পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বলে অভিযোগ সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর।
Advertisement
উদাহরণ হিসাবে শীলতকুচির প্রসঙ্গে টেনে আনেন। জানান, শীতলকুচির ঘটনার পর রাজ্যের মানুষ আতঙ্কিত হয়। তার প্রভাব পড়ে ভোটবাক্সে। এক অংশের মানুষকে আতঙ্কিত করতেই পরিকল্পিত করে শীতলকুচির ঘটনা ঘটনো হয়েছিল বলে অভিযোগ সুজনের।
Advertisement
আগের পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও রাজ্য তাঁদের বসিয়ে রেখে ভোট করেছিল। ফলে সুষ্ঠুভাবে ভোট করা হবে কিনা আগে সরকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বামেরা। বিধানসভা ও লোকসভায় শূন্য হয়ে গেলেও রাজ্যের সবকটি পুরসভা ও কর্পোরেশন আসনে প্রার্থী দেওয়া যাবে বলে নিশ্চিত বাম নেতৃত্ব।
তবে প্রার্থীদের মধ্যে জেতার আগ্রহ কতখানি থাকবে তা নিয়ে সন্দিহান আলিমুদ্দিন। প্রসঙ্গত, কলকাতা নগরনিগম-সহ রাজ্যের ১১২ টি পুরসভায় ২০২০ সাল থেকে নির্বাচনে বকেয়া পড়ে রয়েছে। করোনার জেরে ২০২০ সালে এই নির্বাচনগুলি করানো যায়নি। তবে সূত্রের খবর, বকেয়া পুরনির্বাচন দু’টি বা তিনটি ধাপে সম্পূর্ণ করতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
Advertisement



