করােনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ ক্রমশ কমছে। নিম্নমুখী হচ্ছে সংক্রমণের হার। শনিবার রীতিমতাে পরিসংখ্যান দিয়ে এমনটাই দাবি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ৩ মে থেকে দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানায় সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী। সরকার করােনা মােকাবিলায় যে সব কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলির সুফল পাওয়া যাচ্ছে। নিয়মিত নতুন আক্রান্তের থেকে বেশি হচ্ছে সুস্থতার সংখ্যা।
করােনার গ্রাফ যে দেশজুড়ে নিম্নমুখী হচ্ছে, তার সপক্ষে কয়েকটি যুক্তি খাড়া করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব লব আগরওয়াল। কেন্দ্রের যুক্তিগুলি হল: ভারতের ১০ টি রাজ্যে ৮৫ শতাংশ করােনা আক্রান্ত। বাকি রাজ্যগুলির অবস্থা ততটা খারাপ নয়। ১০ রাজ্যে প্রতিটিতে অ্যাক্টিভ কেস ১ লক্ষের বেশি। আটটি রাজ্যের অ্যাক্টিভ কেস ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষের মধ্যে। বাকি রাজ্যের অ্যাক্টিভ কেস নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। দেশের ১৭ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশসিত অঞ্চলে অ্যাক্টিভ কেস ৫০ হাজারেরও নীচে।
Advertisement
উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে একটা সময় প্রচুর সংক্রমণ হচ্ছিল। এখন তা নিম্নমুখী। গত এক সপ্তাহে দেশের পজিটিভিটি রেট ২১.৯ শতাংশ থেকে কমে ১৮.৮ শতাংশে নেমেছে। এসবের পাশাপাশি টিকাকরণ নিয়েও আশার কথা শুনিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। অধিকাংশ রাজ্যে ৮৫ থেকে ৯৫ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী টিকা পেয়ে গিয়েছেন। সব মিলিয়ে দেশের ৮২ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী অন্তত একটি ডােজের ভ্যাকসিন পেয়েছেন।
Advertisement
এই মুহূর্তে দেশে দেড় কোটি কোভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে প্রতি মাসে। আগামী দিনে তা ১০ কোটি করার লক্ষ্যে এগােচ্ছে কেন্দ্র। বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, কেন্দ্র যে দাবি করছে, সেটা ফেলে দেওয়ার নয়। তবে আগামী ১৫ দিন দেশের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি সবকিছু ঠিকঠাক চলতে থাকে, তাহলে হয়তাে জুনের শুরুতে পরিস্থিতির কিছুটা হলেও ভালাে হবে এমনটা আশা করা যায়।
Advertisement



