রবিবার চিঠিতে কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, নন্দীগ্রামের ভােট নিয়ে মমতার জানানাে অভিযােগ ‘তথ্যগত ভাবে ভুল’, ‘ভিত্তিহীন’ বলেও চিঠিতে জানিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ভােট ছিল নন্দীগ্রামে। ভােটে কারচুপির অভিযােগ এনে মমতা নিজে হাতে চিঠি লিখে কমিশনকে পাঠিয়েছিলেন। মমতার আনা সেই অভিযােগের সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে কমিশন। সেই সঙ্গে বয়ালের বুথে তৃণমূল নেত্রীর আচার-আচরণ নির্বাচনী আদর্শ বিধি ভেঙেছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন।
Advertisement
কমিশনের কথায়, ‘একজন প্রার্থী, যিনি কিনা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও, তিনি ভােটারদের এভাবে ভুল পথে চালিত করে গিয়েছেন। এর থেকে বড় বিধিবহির্ভূত কাজ আর কী হতে পারে।’ নন্দীগ্রামে ভােট চলাকালীন বয়ালের বুথে মমতার আচরণ প্রসঙ্গে কমিশনের বক্তব্য, ‘এতে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় অন্য রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলাও বিঘ্নিত হতে পারত।’
Advertisement
আদর্শ আচরণবিধি এবং জন প্রতিনিধি আইনে এ ব্যাপারে দ্রুত ও যথাযথ ব্যবস্থা নেবে তারা। কমিশনের এই অভিযােগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘােষ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব খতিয়ে দেখছে। তবে বয়ালে যা ঘটেছে তা সবাই দেখেছে। ১৪৪ ধারা জারি হওয়া সত্ত্বেও মেলার মাঠের মতাে ভিড় করে দাঁড়িয়ে সেখানে বিজেপি-র হয়ে স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল। কমিশন সেটা কী ভাবে অস্বীকার করতে পারে।’
কমিশনের পক্ষপাতিত্বের কথা তুলেই কুণাল বলেন, ‘আমরা এর আগেও বলেছি, কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। এখানেও সেটাই হচ্ছে।’ রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখােপাধ্যায় কমিশনের চিঠি প্রসঙ্গে বলেন, ‘যখন মমতা বুথে বসেছিলেন, তখন তাে সেখানে কমিশনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। তারা কী বলেছিলেন যে এতে শৃঙ্খলা ভাঙতে পারে। যদি তখন না বলে থাকেন তবে এখন বলছেন কেন?
বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘তৃণমূল যদি কমিশনকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে থাকে তবে বুঝতে হবে কমিশনের উপর তাদের ভরসা নেই। তার মানে সংবিধানেও ভরসা নেই। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামােতেও ভরসা নেই।
Advertisement



