• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

বৃদ্ধা মা, স্ত্রী আর ছােট্ট তিন মেয়ের সংসারে মইদুলই ছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী 

বেসরকারি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে হার মেনেছেন বাঁকুড়ার কোতুলপুরের ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদা। সােমবার ভােরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

শহীদ মইদুল ইসলাম মিদা (Photo: Twitter | @CPIM_WESTBENGAL)

বেসরকারি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে হার মেনেছেন বাঁকুড়ার কোতুলপুরের ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদা। সােমবার ভােরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এখবরে শােকস্তব্ধ কোতুলপুরের শিহর-গােপীনাথপুর অঞ্চলের চোরকলা গ্রামও। 

স্থানীয় মানুষ ও দলীয় সহকর্মী রা জানান, গােপীনাথপুরে তাঁদের সংগঠনের ইউনিট সম্পাদক ছিলেন মইদুল। এলাকায় তিনি পরিচিত ‘ফরিদ’ নামে। পেশায় ছিলেন অটোচালক। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার। ‘ লড়াকু মানসিকতার ছেলে ফরিদ। এমনটাই বলছেন তাঁর সংগঠনের সতীর্থরা। 

Advertisement

ডিওয়াইএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভয় মুখােপাধ্যায় বলছেন, “খুব সিরিয়াসলি রাজনীতি করতেন মইদুল। সংগঠনের প্রতিটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতেন তিনি।” 

Advertisement

মইদুলের বাবা মারা গিয়েছেন। বাড়িতে রয়েছেন তাঁর মা তাহমিনা বিবি, স্ত্রী আলেয়া বিবি। রয়েছে তিন কন্যাসন্তানও। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারি ছিলেন মইদুল। তাঁর রাজনৈতিক আন্দোলন বা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ তাঁদের কাছে নতুন কিছু ছিল না। 

কিন্তু সােমবার ভােরবেলা তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই শােকস্তব্ধ গােটা পরিবার। কি করে তিন সন্তান, স্ত্রী ও বৃদ্ধা মা-এর সংসার চলবে, তা নিয়ে চিন্তিত পরিবারের সদস্যরা।

মইদুলের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ডিওয়াইএফআই আশ্বাস দিয়ে বলেছে, “আমরা ধারাবাহিক ভাবে মইদুলের পরিবারের পাশে থাকব। আর্থিক সাহায্যের জন্য আমরা রাজ্য তথা দেশ জুড়ে পথে নামব। তবে চাকরির দাবিতে আন্দোলনে নেমে পুলিশের লাঠির আঘাতে কারও মৃত্যু হচ্ছে, এমন নজির বাংলায় কখনও ছিল না।”

Advertisement