মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী হলেও ‘আমি তােমাদেরই লােক’। তাই মঙ্গলবার সাধারণ মানুষের সঙ্গে একসঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড’টি নিলেন উপযুক্ত নথিপত্র জমা দিয়ে।
সর্বসাধারণের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাস্থ্যসাথী। সাধারণের মতােই মঙ্গলবার সেই পরিষেবা গ্রহণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সােমবারই নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, তিনিও স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড করাবেন। মঙ্গলবার সকাল এগারােটা নাগাদ হরিশ মুখার্জি স্ট্রিটের জয় হিন্দ ভবনে উপস্থিত হল মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন কলকাতার নগরপাল অনুজ শর্মা, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, পুর ও নগরােন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম সহ বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকরা।
Advertisement
তবে সবাইকে ছাড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য জনা তিনেকের পেছনে লাইনে দাঁড়ালেন। অপেক্ষা করলেন কখন তার সময় আসে। সেই ফাঁকে লাইনে দাঁড়ানাে মানুষজনের কাছ থেকে খোঁজখবর নিলেন তারা পরিষেবা ঠিকমতাে পাচ্ছেন কিনা।
Advertisement
এরপর যথাবিধি মুখের মাস্ক খুলে ছবি তুললেন, হাতের আঙুলের থাম্ব ইমপ্রেশন দিলেন, নথিপত্র জমা দিলেন। তারপরই তাঁর হাতে এসে গেলে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড। মিনিট দশেকের মধ্যেই সব প্রক্রিয়া সেরে নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে বললেন, আমি একজন সাধারণ মানুষ, তাই সাধারণ মানুষের মতােই কার্ড নিলাম।
প্রসঙ্গত আগেই মুখ্যমন্ত্রী ঘােষণা করেছিলেন অন্য কোনও সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার আওতায় না থাকলেই সবার জন্য স্বাস্থ্যসাথী। এই প্রকল্পে বেসরকারি হাসপাতালেও মিলবে বিমা সুবিধে। পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা মিলবে। ১৬ ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যসাথীর এই স্মার্ট কার্ড বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল রাজ্য সরকার।
ওইদিনই ন’ কোটি পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথা ঘােষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরপরই এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথা বলেছিলেন মমতা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রকল্পটিকে সর্বজনীন করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির মারফত এই স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড বিতরণ কিছুটা ভােটের অঙ্কের হিসেব নিকেশ করেই বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক দল।
Advertisement



