• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ইছামতীতে বিসর্জনেও বাদ সাধল করােনা-বিধি

প্রতিবছর দুর্গাপুজোর পর বসিরহাটের ইছামতী নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দুই বাংলার মানুষের আবেগঘন মুহুর্ত আর মিলন ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত ছিল।

দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন(Photo@Arnab Biswas/SNS)

প্রতিবছর দুর্গাপুজোর পর বসিরহাটের ইছামতী নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দুই বাংলার মিলন ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত ছিল। দুই বাংলার মানুষের আবেগঘন মুহুর্ত নিজ চোখে উপলব্ধি করতে প্রচুর মানুষের সমাগম হতাে টাকিতে। যদিও বিগত কয়েক বছর ধরে তাতে ভাটা পড়েছে।

ইছামতীর দু’পাশে দুই দেশের মানুষ প্রতিমা বিসর্জন করলেও, নদীর মাঝ বরাবর দুই দেশের পুলিশ ও সীমান্ত রক্ষীবাহিনী পাহারা দেয়। তাই আগের মতাে উৎসবে মুখরিত না হতে পারলেও, এপার বাংলা-ওপার বাংলার বিসর্জন দেখতে দুর দুরান্ত থেকে মানুষের সমাগম হত।

Advertisement

এবার অন্য বছরের থেকে পরিস্থিতি আলাদা করােনার জন্য। করােনা আবহে রীতি নিয়ম মেনে ইছামতীর ঘাটে বিসর্জন শুরু হলেও সেই আড়ম্বর নেই। গত কয়েক বছরের মতাে এবারও দশমী পুজো শেষ হতেই সকাল থেকেই টাকির জমিদার বাড়ির প্রতিমা গুলাের সঙ্গে একের পর এক ক্লাবের প্রতিমা ভাসান শুরু হয় টাকির ইছামতীতে।

Advertisement

গতবারে থেকে কড়াকড়ি আরও বেশি। ইছামতীর পারে মানুষের ঢল থাকলেও তা বেশি নয়। প্রতিমা বিসর্জনের জন্য হাতে গােনা সংগঠন এর সদস্য। বেশি ভিড় হলেই পুলিশ প্রশাসন সেই ভিড় খালি করার পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহার সবাই করছেন কিনা তার দিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছিল কড়া দৃষ্টিতে।

টাকিতে আগত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তান্য বারের তুলনায় এবারের পুজো আলাদা। এবার টার্কিতে এসে তারা দুই বাংলার মানুষের আবেগঘন মুহুর্ত উপভােগ করতে পারেননি। তাই তাদের আশা করােনা মুক্ত হবে এবং পরের বার টার্কিতে এসে অতীতের সেই আবেগঘন মুহূর্ত আবারও অনুভব করতে পারবেন, মাতবেন বিজয়ার আনন্দে।

Advertisement