সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্যের তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার এফআইআর দায়ের করল সিবিআই । এদিন রিয়া চক্রবর্তী, তার ভাই সৌভিক চক্রবর্তী সহ মোট সাতজনকে অভিযুক্ত করে সিবিআই মামলা রুজু করেছে। সিবিআইয়ের অন্যতম সেরা টিমকে এই তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। এই সদস্যরাই অগস্টা ওয়েস্টল্যান্ড চপার কাণ্ড ও বিজয় মালিয়ার তদন্তে ছিলেন।
বুধবারই সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল। এদিকে সুশান্তের মামলায় বিহারের তদন্তকারী অফিসারকে মুম্বইয়ে জোর করে কোয়ারেন্টাইনে রাখার বিষয়েও সরব হয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার।
Advertisement
বারবার সিবিআইকে এই তদন্তের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন নীতিশ কুমার। প্রয়াত অভিনেতার বাবার সঙ্গে কথা বলার পর নীতিশ কুমার এই সুপারিশ করেন। এদিকে সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত করতে পাটনা থেকে মুম্বই আসা আইপিএস অফিসার বিনয় তিওয়ারিকে মুম্বই পুলিশ এবং বৃহনুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এখনও কোয়ান্টাইনে রেখেছে।
Advertisement
বিহারের ডিজিপি গুপ্তেশ্বর পান্ডে এদিনসংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘আজকের মধ্যে যদি নিয় তিওয়ারিকে ছাড়া না হয় তাহলে আইনি পদক্ষেপ নেবে বিহার পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া ছাড়া আর রাস্তা খোলা থাকবে না। কারণ সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, মুম্বই পুলিশ এবং বিএমসির এই আচরণ মোটেই ভালো নয়। পাটনার এই অফিসার তদন্ত করতে এসেছিলেন তার সঙ্গে পেশাদারিত্বের সঙ্গে আচরণ করা উচিত ছিল।
অন্যদিকে বিএমসির কমিশনার পাটনার আইজিপিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন কোয়ারান্টাইন নিয়ে ভারত সরকারের যে গাইডলাইন রয়েছে তারা সেই নিয়ম মেনেই আইপিএস অফিসারকে চোদ্দ দিনের কোয়ারান্টাইনে তারা পাঠিয়েছেন তারা কোনও নিয়ম ভাঙেননি।
প্রয়োজনে ওই অফিসার সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে জুম মিট, গুগল মিট, জিও মিটের মাধ্যমে তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। এদিকে রিয়া চক্রবর্তীর কল রেকর্ড খতিয়ে দেখেছে বিহার পুলিশ। তাতে দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েকদিন রিয়ার সঙ্গে ফোনে সুশান্তের কথা হয়নি। কিন্তু মুম্বই পুলিশ অন্য কথা বলছে।
Advertisement



