নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক এস মুরগানের গাড়িতে হামলার অভিযোগে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট। ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) শুনানিতে গিয়ে অযথা হয়রানির অভিযোগ তুলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ। গ্রামবাসীদের দাবি, কমিশন বিনা কারণে মানুষকে হেনস্থা করছে। এই অভিযোগ তুলে এস মুরগানের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তাঁর গাড়িতে চড়-থাপ্পর মারা হয়। ভাঙচুরও করা হয় গাড়িটি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে মুরগানকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এনুমারেশন পর্বের পর রাজ্য জুড়ে চলছে এসআইআরের শুনানিপর্ব। প্রতিদিন ‘নো ম্যাপিং’ ভোটারদের ডেকে তথ্য ও নথি সংগ্রহ করছে নির্বাচন কমিশন। এই কাজ শুরু হয়েছে গত শনিবার। সাধারণ মানুষ তথা রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ, শুনানিপর্বে ভোটারদের হেনস্থা হতে হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বয়স্কদের। অ্যাম্বুল্যান্সে, হুইল চেয়ারে করে শুনানিকেন্দ্রে আসছেন অসুস্থরা। সোমবার মগরাহাট সিরাকল হাইস্কুলে এসআইআরের শুনানিকেন্দ্রে শুনানির কাজ তদারক করতে গিয়েছিলেন মুরগান। সেই সময় তিনি গ্রামবাসীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন মহিলা।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বাড়ি বাড়ি না-গিয়ে স্কুলে বসে এসআইআরের কাজ করা হচ্ছে। বয়স্ক, অন্তঃসত্ত্বা, অসুস্থদেরও ডেকে পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। অমানবিক আচরণ করছে তারা। বহু ক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। এর জন্য অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কাজ ছেড়ে শুনানিতে চলে আসায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন দিনমজুররা। বিনা কারণে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করছে কমিশন। কেন বয়স্ক, অসুস্থ ও প্রতিবন্ধীদের বাড়িতে গিয়ে শুনানির কাজ করা হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা। এদিনের এই বিক্ষোভ থেকে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা দেওয়ার দাবিও উঠেছে। মুরগানকে কাছে পেয়ে তাঁর কাছে বিক্ষোভকারীদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ এসআইআরের নামে হয়রানি করা হচ্ছে।
Advertisement