বাংলা দলকে বিদর্ভের বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ জয়ের পরই বরোদার কাছে বড় হার। তবে হার নয়, বিজয় হাজারে ট্রফিতে বাংলার চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যাটসম্যানদের শট নির্বাচন।
বরোদা ম্যাচে অভিষেক পোড়েলরা যে সব শট খেলে আউট হয়েছেন, সেটাই চিন্তার। সোমবার বাংলা খেলবে চণ্ডীগড়ের বিপক্ষে। তার আগে শনিবার পুরো বাংলা দলকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। রবিবার নিরঞ্জন শাহকে বাংলা স্কোয়াডে ডেকে নেওয়া হল। সে অনূর্ধ্ব ১৯ স্পিনার। রবিবার নিরঞ্জন শাহ স্টেডিয়ামের মূল মাঠে প্র্যাকটিস করে রাংলা দলের সঙ্গে। চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে ওই মাঠেই ম্যাচ। তার আগে ব্যাটাসম্যানদের নিয়ে যেমন ক্লাস হয়েছে, তেমনই বোলারদের নিয়ে আলাদা বৈঠক হয়েছে কোচের সঙ্গে। ম্যাচের আগে আরও এক প্রস্থ আলোচনা হবে বোলারদের নিয়ে। কারণ মহম্মদ শামি ছাড়া বাকিদের কেউই সেভাবে পারফর্ম করতে ব্যর্থ। মুকেশ কুমার আর আকাশ দীপকে খুব সাধারণ দেখাচ্ছে। সেটাও ভাবাচ্ছে বাংলা দলকে।তাই চণ্ডীগড় ম্যাচের আগে অনূর্ধ্ব ১৯ টিম থেকে ক্রিকেটার উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লেগস্পিনার রোহিত কুমার দাসকে সিনিয়র টিমে পাঠানো হচ্ছে। তরুণ এই লেগস্পিনার অনূর্ধ্ব ১৯ টিমের হয়ে যথেষ্ট ভালো পারফর্ম করেছে। এবার বিজয় হাজারেতে রাজকোটে যেমন উইকেট, তাতে কার্যকর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Advertisement
সেক্ষেত্রে কোনও এক স্পিনারের বদলে খেলানো হতে পারে তাঁকে। এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টের কেউ কেউ বলছিলেন, ব্যাটসম্যানদের বলা হয়েছে, আরও দায়িত্ব নিতে হবে। সেট হয়ে যাওয়ার পর উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসা চলবে না। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে বিজয় হাজারের গ্রুপ পর্বে এখনও পাঁচটি ম্যাচ বাকি রয়েছে অভিমন্যু ঈশ্বরণদের। স্টেডিয়ামের মূল মাঠে অনুশীলন করে বাংলা দল। চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে ওই মাঠেই ম্যাচ। মহম্মদ শামি ছাড়া বাকিদের অন্যরা সেভাবে পারফর্ম করতে পারছেন না। মুকেশ কুমার আর আকাশ দীপকে খুব সাধারণ দেখাচ্ছে। সেটাও ভাবাচ্ছে। তাই কোনও ভাবে হালকা চালে খেলা চলবে না। অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে প্রতিপক্ষ দলের বিপক্ষে লড়াই করতে নেমে।
Advertisement
Advertisement



