• facebook
  • twitter
Saturday, 27 December, 2025

নেতাজির পার্থিব অবশেষ জাপান থেকে ভারতে আনার জন্য রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বসু পরিবারের

আগামী ২৩ জানুয়ারি নেতাজির ১২৯তম জন্মদিনের আগেই জাপানের রেনকোজি মন্দিরে থাকা নেতাজির পার্থিব অবশেষ ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার যেন দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবারের সদস্যরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে একটি চিঠি লিখে কেন্দ্র সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তাঁদের আবেদন, আগামী ২৩ জানুয়ারি নেতাজির ১২৯তম জন্মদিনের আগেই জাপানের রেনকোজি মন্দিরে থাকা নেতাজির পার্থিব অবশেষ ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার যেন দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়। দীর্ঘদিন ধরেই নেতাজির পরিবার এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে যুক্ত প্রাক্তন সৈনিকরা এই দাবি জানিয়ে আসছেন।

নেতাজির নাতি চন্দ্র কুমার বসু একটি ভিডিও বার্তায় তাঁর হতাশার কথা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য যাঁর অবদান অসামান্য, সেই নেতাজির দেহাবশেষ এখনও বিদেশে পড়ে থাকা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাঁর মতে, আগামী ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মের ১২৯ বছর পূর্ণ হবে। তার আগেই যদি তাঁর পার্থিব অবশেষ দেশে ফিরিয়ে আনা যায়, তা হলে সেটি হবে দেশের মানুষের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

Advertisement

চিঠিতে বসু পরিবার জানিয়েছে, তাঁরা শরৎচন্দ্র বসু ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবারের সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে এই আবেদন জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে নেতাজির ত্যাগ, আদর্শ এবং দেশপ্রেমের কথা তুলে ধরার জন্য এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। নেতাজির কন্যা অধ্যাপক অনিতা বসু পাফ এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও নিয়মিতভাবে ভারত সরকারের কাছে এই বিষয়টি উত্থাপন করে আসছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। এই চিঠির একটি কপি সংবাদমাধ্যমের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

পরিবারের তরফে আরও জানানো হয়েছে, গত ২১ অক্টোবর সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ সরকারের প্রতিষ্ঠার ৮০তম বর্ষপূর্তি উদ্‌যাপন করা হয়েছে। তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন, দিল্লিতে আজাদ হিন্দ ফৌজের একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত হবে। এই স্মৃতিস্তম্ভ ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে শেষ লড়াইয়ে অংশ নেওয়া আইএনএ সেনাদের সম্মান জানাবে এবং নেতাজির ঐতিহাসিক ‘দিল্লি চলো’ স্লোগানকে স্মরণ করাবে।

চিঠির শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে বসু পরিবারের আবেদন, নেতাজির পার্থিব অবশেষ ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার যেন সঠিক ও বাস্তব উদ্যোগ নেয়। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতাজির অবদান ও ত্যাগের কথা মনে রাখবে এবং দেশের ইতিহাস নিয়ে গর্ব বোধ করবে।

Advertisement