• facebook
  • twitter
Wednesday, 24 December, 2025

সবচেয়ে ভারী কৃত্রিম উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণ করে ইতিহাস গড়ল ইসরো

এখনও পর্যন্ত সবথেকে ভারী উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠাল ইসরো

সবচেয়ে ভারী কৃত্রিম উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণ করল ভারত। ‘বাহুবলী’ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিল মার্কিন কৃত্রিম উপগ্রহ। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রের দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে উড়ে গেল এলভিএম-৩ রকেট। বুধবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে রকেটের সফল উৎক্ষেপণ করা হয় বলে জানিয়েছে ইসরো। মার্কিন সংস্থা এএসটি স্পেসমোবাইলে তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট ‘ব্লু বার্ড ৬’। প্রায় ৬০০০ কেজি ভারী কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়ে ইতিহাস গড়ল ভারতের এলভিএম৩-এম৬ রকেট। এখনও পর্যন্ত সবথেকে ভারী উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠাল ইসরো। এর আগে গত নভেম্বর মাসে ‘ইসরো’র তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ ‘সিএমএস-০৩’ সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। যার ওজন ছিল প্রায় ৪৪১০ কেজি।

‘ব্লু বার্ড ৬’ মহাকাশ থেকে পৃথিবীর যে কোনও সাধারণ স্মার্টফোনে সরাসরি ব্রডব্যান্ড সিগন্যাল পাঠাতে পারবে। বুধবার সকাল ৮টা ৫৪ মিনিটে কৃত্রিম উপগ্রহট সমেত উৎক্ষেপণের কথা ছিল এলভিএম৩-এম৬ রকেটের। কিন্তু ৯০ সেকেন্ড সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। মহাকাশের বর্জ্য কিংবা অন্যান্য স্যাটেলাইটের গতিপথের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে ইসরো। অবশেষে ৮টা ৫৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে উপগ্রহটি ‘বাহুবলী’ রকেটে করে উৎক্ষেপণ করা হয়।

Advertisement

ইসরোর সূত্রে খবর, উৎক্ষেপণের প্রায় ১৫ মিনিট পর রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কথা ‘ব্লু বার্ড ৬’-এর। তার পর প্রায় ৫২০ কিলোমিটার উচ্চতায় তার নির্ধারিত কক্ষপথে পৌঁছবে। ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন জানিয়েছেন, ভারতের মাটি থেকে এর আগে এত ভারী কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ হয়নি। তাই ৪৩.৫ মিটার উঁচু এলভিএম৩-এম৬ রকেটটিকেই এই কাজের জন্য বেছে নেওয়া হয়। ভারী কৃত্রিম উপগ্রহ বহনে সক্ষম এই রকেটকে ইসরোর বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন ‘বাহুবলী’। ভারী কৃত্রিম উপগ্রহ বহনে সক্ষম এলভিএম৩ রকেটগুলির মধ্যে এটি ষষ্ঠ সংস্করণ।

Advertisement

উপগ্রহটি সফল উৎক্ষেপণের পরে ইসরোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সবচেয়ে ভারী কৃত্রিম উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণ মাইলস্টোন তৈরি করল। ভারতের ভারী উপগ্রহ লঞ্চের ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে। গ্লোবাল কমার্সিয়াল লঞ্চ মার্কেটে আমাদের গুরুত্ব বাড়বে। আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি সফল প্রতিফলন। আমাদের প্রত্যেক মহাকাশ বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ারদের আমি শুভেচ্ছা জানাই।’

 

 

 

 

Advertisement