বড়দিনের আগেই মেদিনীপুর শহরবাসীর জন্য এলো সুখবর। শহরের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে চালু হলো নতুন ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্র। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন ও মেদিনীপুর পুরসভার উদ্যোগে এই পরিষেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
এই ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্র আসলে একটি চলন্ত হাসপাতাল। বিশেষভাবে সাজানো এই অ্যাম্বুল্যান্স শহরের বিভিন্ন অলিগলি ও জনবহুল এলাকায় ঘুরবে। সাধারণ মানুষ ঘরে বসেই চিকিৎসকের পরামর্শ পাবেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থাও থাকবে।
Advertisement
এই ইউনিটে সব সময় থাকবেন অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স এবং ল্যাব টেকনোলজিস্ট। শহরের পিছিয়ে পড়া এলাকা ও বস্তি অঞ্চলের বাসিন্দারা এই পরিষেবা থেকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন বলে মনে করছে প্রশাসন।
Advertisement
ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্রে মোট ৩৫ ধরনের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করা যাবে। চিকিৎসা হোক বা পরীক্ষা— সব পরিষেবাই দেওয়া হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। শহরবাসীর পকেটের উপর কোনও চাপ পড়বে না।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা, পুরপ্রধান সৌমেন খান এবং পুরসভার একাধিক কাউন্সিলর। জেলাশাসক দপ্তরের সামনে থেকে সবুজ পতাকা নেড়ে পরিষেবার সূচনা করা হয়।
এর আগে মেদিনীপুর সদর ব্লক ও পুরসভা এলাকার জন্য মাত্র একটি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্র ছিল। সেই একটি গাড়ি দিয়ে গ্রাম ও শহর— দু’দিক সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। ফলে শহরের ঘিঞ্জি এলাকা ও বস্তিগুলিতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছানো যাচ্ছিল না।
এই সমস্যা তুলে ধরে পুরপ্রধান সৌমেন খান আলাদা একটি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্রের দাবি জানান। প্রশাসন সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে নতুন ইউনিট চালু করা হয়েছে। পুরপ্রধান বলেন, ‘মেদিনীপুর শহরে একাধিক বস্তি এলাকা রয়েছে। এতদিন একটি মাত্র গাড়িতে পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছিল না। নতুন ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্র চালু হওয়ায় এই সমস্যা অনেকটাই মিটবে।’
পুরসভা কর্তৃপক্ষের আশা, এই উদ্যোগের ফলে শহরের প্রতিটি মানুষের কাছে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যাবে।
Advertisement



