হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় সোমবার ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল রানাঘাট এডিজি আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আজ, মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা করবে আদালত।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে এপ্রিল মাসে হাঁসখালি থানার বগুলায় বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় এক নাবালিকা। পরে তাকে খুন করে দেহ লোপাটের জন্য পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই মামলায় রাজ্য পুলিশ তদন্ত শুরু করে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে।
Advertisement
পরে সেই তদন্তভার আদালতের নির্দেশে যায় সিবিআই-এর কাছে। আর সেই মামলাতেই সোমবার অভিযুক্তদের মধ্যে ৯ জনকে দোষী সাবস্ত করল রানাঘাট মহকুমা আদালত। মঙ্গলবার দোষীদের সাজা শোনাবেন বিচারক।
Advertisement
দোষীরা হলেন সোহেল গয়ালি, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক। এই তিনজন ৬ ধারায় অভিযুক্ত। এছাড়া রয়েছে সুরজিৎ রায় ও আকাশ বারুই, সমরেন্দ্র গয়ালি, দীপ্ত গয়ালি ও পীযূষকান্তি ভক্ত এবং অংশুমান বাগচি।
২০২২ সালের ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় সংঘটিত হয়েছিল অপরাধ৷ এক মদ্যপানের আসরে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে৷ অভিযোগ, ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় নাবালিকাকে ফেলে রাখা হয় রাস্তায়। ৫ এপ্রিল ২০২২ ভোরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কিশোরীর মৃত্যু হয় বাড়িতে। ঘটনায় মূল অভিযুক্তরা হল সোহেল গয়ালি, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক, সুরজিৎ রায়, আকাশ বাড়ৈ, সমরেন্দ্র গয়ালি, দীপ্ত গয়ালি ও পীযূষ কান্তি ভক্ত, অংশুমান বাগচী৷ অভিযোগ ওঠে মূল অভিযুক্ত সোহেল গয়ালির জন্মদিনের পার্টিতেই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়৷ মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তারমধ্যে এক নাবালক ছিল। সিবিআই ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। রাজ্য পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল।
৯ এপ্রিল ২০২২ হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। প্রথমেই গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত সোহেল গয়ালিকে৷ ১০ এপ্রিল ২০২২ রাতেই সোহেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ ১৩ এপ্রিল ২০২২ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই গভীর রাতে দায়িত্ব হাতে নেয়। শেষ গ্রেপ্তার ২৯ এপ্রিল। মূল অভিযুক্ত সোহেল গয়ালির বাবা সমরেন্দ্র গয়ালি ও তার ঘনিষ্ঠ পীযূষ ভক্তকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। ১৫ এপ্রিল হাঁসখালি থানার আধিকারিকদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
Advertisement



