• facebook
  • twitter
Tuesday, 23 December, 2025

ন্যাজাট–কাণ্ডে গ্রেপ্তার ঘাতক ট্রাকের চালক

শাহজাহান মামলার সাক্ষীর গাড়িতে ধাক্কা

প্রতীকী চিত্র

ন্যাজাট–কাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়েছেন মূল অভিযুক্ত আলিম মোল্লা। এই ঘটনায় আগেই ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। কিন্তু মূল অভিযুক্ত ট্রাকচালক আলিম মোল্লা পলাতক ছিলেন। রবিবার গভীর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি গোপন ডেরা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। আলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে ১৬ চাকার ট্রাক চালিয়ে তিনি সন্দেশখালির শাহজাহান শেখের মামলার অন্যতম সাক্ষী ভোলা ঘোষের গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে তাঁকে খুনের চেষ্টা করেন। এই ঘটনায় গাড়ির চালক ও ভোলার ছেলের মৃত্যু হয়েছিল।

গত ১০ ডিসেম্বর আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাচ্ছিলেন ভোলানাথ ঘোষ ও তাঁর ছেলে সত্যজিৎ ঘোষ। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন শাহানুর মোল্লা। ন্যাজোটের বয়ারমারি পেট্রোল পাম্পের সামনে বাসন্তি হাইওয়েতে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের ধাক্কায় গাড়িটি নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সত্যজিৎ ও শাহানুরের। ভোলানাথকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রথম থেকেই ভোলানাথ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ছিল, পরিকল্পনা করে খুনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এর পিছনে রয়েছেন শেখ শাহজাহান। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষী হওয়ায় এর আগে একাধিকবার ভোলানাথকে হুমকি দিয়েছিলেন শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা। এবার তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হল। ঘটনার পরের দিন বৃহস্পতিবারই শেখ শাহজাহান সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে খুনের মামলা দায়ের করেন ভোলানাথ। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আগেই ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। কিন্তু অধরা ছিলেন ঘাতক ট্রাকের চালক আলিম মোল্লা।

Advertisement

আলিমের গ্রেপ্তারির খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ভোলানাথ ঘোষ। ছেলের মৃত্যুর সুবিচার চেয়েছেন তিনি। ভোলা জানিয়েছেন, আলিমকে তিনি ঘটনার দিন নিজের চোখে দেখেছিলেন। সেই মর্মে তিনি থানায় অভিযোগও করেছিলেন। তাঁর কথায় ‘আমার পুলিশের প্রতি আস্থা ছিল। আমি ধন্যবাদ জানাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুলিশ প্রশাসনকে। আশা করি এর সঙ্গে আরও যাঁরা জড়িত, তাঁরাও অবিলম্বে ধরা পড়বেন।’

Advertisement

Advertisement