সাফ মহিলা ক্লাব কাপের ফাইনালে শনিবার কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল ও নেপালের এপিএফএফসি-র বিরুদ্ধে। অবশ্য এই দলের সঙ্গে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে লাল-হলুদ ব্রিগেড অমীমাংসিতভাবে খেলা শেষ করেছিল। তাই ইস্টবেঙ্গলের কাছে পাখির চোখ ফাইনালে জয় তুলে নেওয়া। স্বাভাবিকভাবে স্থানীয় দলের প্রতি সমর্থকদের অনুপ্রেরণা থাকবেই। সেই কারণেই ইস্টবেঙ্গলকে অনেক বেশি সাহসী ভূমিকা নিয়ে খেলতে হবে।
ইস্টবেঙ্গলের কোচ অ্যান্থনি অন্ড্রুজ স্পষ্ট জানিয়েছেন, দলের সব খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে তৈরি প্রতিপক্ষ দলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার জন্য। খেলোয়াড়রা পুরোপুরি ছন্দে রয়েছেন। তাই ধারাবাহিক ভালো খেলার রশদ নিয়ে নেপালের দলটিকে চাপের মধ্যে রাখবে বলে বিশ্বাস। সেই কারণেই আশা করা যেতেই পারে, ইস্টবেঙ্গল অনেকটাই এগিয়ে থাকবে প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে। আগে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইস্টবেঙ্গল নকআউট পর্যায়ে খেলার সুযোগ পায়নি। তাই ওই কথা মনে রেখেই নেপালের দলকে হারানোই তাদের কাছে অঙ্গীকার। প্রথমবার সাফ ক্লাব মহিলা কাপ ফুটবলে বিজয়ী হয়ে ভারতে ট্রফি নিয়ে আসতে চাইছেন ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়রা। আত্মবিশ্বাসী ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়রা অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে যে ভুলত্রুটিগুলি চোখে পড়েছে, তা শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়রা লড়াকু ভূমিকা নিয়ে খেলতে পারেন, তাহলে জয়টা কোনও অধরা হবে না।
Advertisement
শেষবারের মতো ইস্টবেঙ্গল আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেছিল ২০০৫ সালে। তারপরে সেইভাবে কোনও ট্রফি ইস্টবেঙ্গল জিততে পারেনি। কোচ স্পষ্ট জানিয়েছেন, সুযোগ কিন্তু বার বার আসবে না, তাই প্রথম সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে এগিয়ে থাকতে হবে। প্রতিপক্ষ দলকে সবসময়ই চিন্তার মধ্যে রেখে আক্রমণ গড়ে তুলতে হবে।
Advertisement
অন্যদিকে, মাঠে নামার আগে প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে সমীহর শোনা গেল এপিএফএফসি-র কোচ জীবেশকুমার পান্ডের মুখে। তিনি বলেন, লাল-হলুদ দল অত্যন্ত শক্তিশালী। সেই কারণে পরিকল্পনামাফিক খেলা খেলে ম্যাচটা জিততে চাই। দলের প্রত্যেকেই দক্ষ খেলোয়াড়। তাই লড়াই করে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।
Advertisement



