ধান পেকেছে
শারমিন নাহার ঝর্ণা
ধান পেকেছে মাঠে মাঠে
হিমেল হাওয়ায় দুলছে,
ঘাসের ডগায় শিশির কণা
মুক্তো হয়ে ঝুলছে।
Advertisement
পাকা ধানে মাঠ ভরেছে
দেখতে আহা বেশ,
ফসল দেখে চাষীর মনে
জাগে খুশির রেশ।
Advertisement
উঠোন জুড়ে পাকা ধানের
বোঝা সারি সারি,
হেমন্ত আজ আনল খুশি
সবার বাড়ি বাড়ি।
মেঘেদের বাড়ি
আভা সরকার মণ্ডল
দুটো পাখি উড়ে যায় ছায়া পড়ে জলে
সেই ছায়া দেখে খুকু কত কথা বলে—
কেন নেই ডানা তার পাখিদের মত?
প্রশ্নটা শুনে সবে খায় থতমত!
বলে তারা পাখি হয়ে কিবা কাজ তার
খুকু বলে মনে আছে সাধ উড়বার।
উড়ে উড়ে যাবে সে যে মেঘেদের বাড়ি
সে বাড়িতে যেতে তার লাগবে না গাড়ি।
চাঁদ তারাদের ছুঁয়ে তুলবে সে ছবি
হিংসায় লাল হবে প্রভাতের রবি
হেসে হেসে খুকু যাবে তারও কাছে উড়ে
যতই সে থাকুক না, ধরা থেকে দূরে!
মনে পড়ে মাকে
বিভাস গুহ
মায়ের কথা পড়লে মনে
ব্যথায় ভরে বুক
মায়ের আঁচলতলে খুঁজে
পেতাম স্বর্গসুখ।
টোনাটুনির গল্প বলে
রোজ পাড়াত ঘুম
কপালেতে এঁকে দিত
স্নেহমাখা চুম।
পড়তে বসে শেখাত মা
কত নীতিকথা
সেই মায়েরই জন্য এখন
শুধুই নীরবতা।
মাগো, তুমি কোথায় আছ
আমায় রেখে একা
কেমন করে পাব আমি
বল তোমার দেখা।
শীত ও বল্টু
বিশ্বজিৎ কর
দুয়ারেতে এসে গেল
শীত মরশুম,
কিছুতেই ভাঙে না যে
বল্টুর ঘুম!
কম্বল গায়ে দিয়ে—
গুটিয়ে শরীর,
মায়ের ধমকেও
নড়ে না সে, স্থির!
কনকনে শীতে কাবু
বল্টু বাবাজি,
চিৎকার করে মা—
‘ওঠ্, ওরে পাজি’!
কম্বলে টান দিলে
ধরে আরও আঁকড়ে,
থাকে যে অপেক্ষায়
দাঁড়াবে সে রৌদ্রে!
শেখায় তোমায়
কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়
আকাশ তোমায় শেখায় আলো
বাতাস শেখায় শ্বাস
নদীও তেমন চলতে পথে
শেখায় বারোমাস।
পাহাড় তোমায় শেখায় দৃঢ়
কর্মে মহান বাণী
আকাশ জুড়ে পাখিও শেখায়
গান ছড়াতে জানি।
গাছেরা সব তোমায় শেখায়
মাটির সঙ্গে থাকো
গুরুজনও শেখান তোমায়
সবকে কাছে ডাকো।
হাতেখড়ি
শীর্ষা
ক্ষীরের পুতুল, আংলা মশাই
খোকার পানে চায়—
কখন খোকা হাত বাড়িয়ে
কোলেতে দেয় ঠাঁই।
কিন্তু খোকার ‘অ আ ক খ’
এখনও যে বাকি!
বর্ণপরিচয়ের দিকে
তাকিয়ে যে তাই থাকি।
তাই তো খোকা স্লেট পেনসিল
ধরছে ছোটো হাতে,
মায়ের চোখ আর বাবার মুখে
আশার আলোর সাথে
খোকার মুখেও ফোটে হাসি—
আনন্দ ঝিলমিল!
ছোট্ট খোকার প্রথম লেখা
আদর অনাবিল।
Advertisement



