ফের কলকাতায় অগ্নিকাণ্ড। এবার বাঘাযতীনের রামগড় বাজারে আগুন লেগে কমপক্ষে ৪০টি দোকান ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা নাগাদ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। দমকলের সাতটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ পুরোপুরি স্পষ্ট না হলেও প্রাথমিক অনুমান, একটি দশকর্মার দোকানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।
বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা নাগাদ রামগড় বাজারের একটি দোকানে আচমকা আগুন দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বাজারে থাকা কমপক্ষে ৪০টি দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় দমকলকে। একের পর এক দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলবাহিনী। শুক্রবার ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও দুপুর পর্যন্ত পকেট ফায়ার দেখা যায়। সেগুলি নেভানোর কাজ সম্পূর্ণ করা গিয়েছে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত এবং বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর জানিয়েছেন, রামগড়ের এই বাজারটি প্রায় ৪০ বছরের পুরনো। এই বাজারে কমপক্ষে ৪০-৫০টি দোকান রয়েছে। ব্যবসায়ীদের কোনও বিমা করা নেই। তাই বাজার পুনর্নির্মাণ-সহ আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয় নিয়ে সরকারকে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন কাউন্সিলর। স্থানীয় বিধায়ক আশ্বাস দিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই বাজারটি সরকারি খাসজমির উপর তৈরি। ৫৭ কাঠা এই জমির উপরে রাজারটি নির্মিত হয়েছে। এই বাজারে মুদির দোকান, ফলের দোকান, দশকর্মার দোকান ইত্যাদি রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই বাজারে ব্যবসা করে চলেছেন ব্যবসায়ীরা। আচমকা অগ্নিকাণ্ডের জেরে দোকান পুড়ে যাওয়ায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধ্বংসাবশেষ থেকে দোকানের অবশিষ্ট জিনিসপত্র কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন দোকানিরা। বাচারে কেনাবেচা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে বাজার চত্বর ঘিরে রাখা হয়েছে।
Advertisement