কাকের ছানা
সুজন দাশ
একটি কাকের দুটি ছানা
কচি কোমল নরম ডানা
মায়ের সাথে উড়ে
এলো তারা খোকার বাড়ি
হাঁটছে উঠোন জুড়ে।
Advertisement
মা-পাখিটা খাবার পেলে
দিচ্ছে তাদের মুখে ঢেলে
খাচ্ছে তারা সুখে,
দেখছে খোকা অবাক হয়ে
নেই কথা তার মুখে।
Advertisement
সকাল হলে নানা পাখি
ডাকতে থাকে থাকি’ থাকি’
লাগে খোকার ভালো,
ঘুম ভেঙে যায় জানলা দিয়ে
ঢুকলে ভোরের আলো।
আজও এসে সকালবেলা
আপন মনে করছে খেলা
দেখে কাকের ছানা,
যেই না খোকা গেল কাছে
মেললো তারা ডানা।
মন বসে কবিতায়
শামসুল হক
নদীর চরে ঘুরে ফিরে
দেখি কাশের মেলা
দুই চোখে সোনার ঝিলিক
শুধুই রঙের খেলা।
সবুজ ঘাসে শুভ্র চূড়া
সঙ্গে বাতাস মৃদু
সবকিছুতেই কাব্য মাখা
মন মাতানো জাদু!
এসব দেখে মনটা কেমন
উদাস হয়ে যায়
কাগজ কলম নিয়ে আমি
মন দি’ কবিতায়।
বাঘ গরু আর সিংহ মহিষ
দেবাশিস দণ্ড
সত্যি কি আর বাঘ গরুতে
এক ঘাটে জল খায়?
সবাই দেখি বলেই খালাস
নেয় না বলার দায়।
ওসব কথায় কান দিও না
ওসব কথা থাক
তাক্কু-নাকুড় তাক-ডুডুম
তাক্কু-নাকুড় তাক।
তবে কিনা সিংহ মহিষ
এক ঘাটে স্নান করে
চ্যালেঞ্জ নিলে দেখিয়ে দেবো
এসো পুজোর পরে।
নদীর জলে ভাসান হলে
বাজবে স্নানের ঢাক
তাক্কু-নাকুড় তাক-ডুডুম
তাক্কু-নাকুড় তাক।
ভেজায় এসে বৃষ্টি
অরূপ দাস
কিলিক কিলিক
মেঘের ঝিলিক
ভেজায় এসে বৃষ্টি,
সবুজ পাতায়
পাখির ডানায়
যায় যেদিকে দৃষ্টি।
টাপুর টুপুর
শব্দ নূপুর
ছলাৎ ছলাৎ জল,
শীতল পরশ
দুপুর অলস
কল্পলোকের ঢল।
এমন সময়
মোটেও যে নয়
ব্যাঙের ঘ্য্যাঙর মন্দ,
এদিক সেদিক
দেখছি যেদিক
পাচ্ছি খুঁজে ছন্দ।
জাদুকর
শ্রীমন্তী ভাণ্ডারী
প্রকৃতি– ঠিক যেন এক জাদুকর,
কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টি, কখনো-বা ঝড়।
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে আমরা যে ঘামছি,
শীতের ঠান্ডায় ফের হিহি করে কাঁপছি।
দেখো শরতের নীল আকাশ– কেমন সে হাসছে,
বর্ষার একটানা বৃষ্টিতে পথ-ঘাট ভাসছে।
শীত এলে পাতা ঝরে, গাছেদের মাথা সব ফাঁকা,
বসন্তে ফুলে ফুলে কত যে রঙিন ছবি হয় আঁকা।
এই দেখো বর্ষায় আকাশটা মেঘে মেঘে কালো,
সেই আকাশেই জ্বলে রামধনুটির আলো।
তোমরা কি বলবে না একে জাদুখেলা,
প্রকৃতির ভোজবাজি দেখে দেখে কেটে যায় বেলা।
Advertisement



