আগামী বছর বিশ্বকাপ ফুটবলে ব্রাজিলের হয়ে মাঠে নামবেন কি তারকা ফুটবলার নেইমার? এই প্রশ্নটা এখন বিশ্বজুড়ে ঘুরছে। আসলে বিশ্বকাপে যেসব তারকা ফুটবলাররা বিভিন্ন দেশের হয়ে খেলবেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ব্রাজিলের নেইমার। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে। নেইমার মরশুমের শেষ ম্যাচটি খেলেছিলেন স্যান্টোসের হয়ে ক্রুজেইরোর বিরুদ্ধে। ওই ম্যাচে স্যান্টোস ৩-০ গোলের ব্যবধানে ম্যাচ জিতেছিল। টানা তিনটি ম্যাচ নেইমার খেলেছিলেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল দলকে ব্রাজিলিয়ান লিগ সেরি ‘এ’-তে টিকিয়ে রাখা। তিনি সফল হলেও ডান পায়ে তাঁর চোট লাগে। সেই চোট এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল, যা অস্ত্রোপচার করা ছাড়া কোনও পথ নেই।
২০২৩ সাল থেকে তিনি পেশির চোটে ভুগছেন। সেই চোট কিছুটা নিরাময় হওয়ার পরে গত জানুয়ারি মাসে স্যান্টোসে যোগ দিয়েছিলেন। ক্লাবের অবনমন বাঁচাতে চোট নিয়েই তিনি মাঠে নেমেছিলেন। এমনকি স্যান্টোসের হয়ে ১৫০টি ম্যাচ খেলার নজির গড়েন। তাই খেলার শুরুতেই তাঁর হাতে বিশেষ স্মারক তুলে দেওয়া হয়েছিল। ম্যাচের পর নেইমার বলেন, “আমি চোট নিয়েই খেলেছি। কারণ, আমার মনে হয়েছিল, ক্লাবকে সাহায্য করার জন্য এটাই সেরা উপায়। সপ্তাহটা আমার কাছে ভীষণই কঠিন ছিল। হাঁটুর চোট নিয়েই খেলেছি। যাঁরা আমাকে খেলার জন্য উজ্জীবিত করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ।” এর পরই তিনি অস্ত্রোপচারের কথা জানান। অস্ত্রোপচার করলে ফিট হয়ে ম্যাচে ফেরাটা বেশ কঠিন নেইমারের পক্ষে। অন্তত বিশ্বকাপের আগে সেটা অসম্ভব মনে হচ্ছে।
Advertisement
আসলে বহুদিন ধরেই ব্রাজিল দলের বাইরে নেইমার। ব্রাজিলের হয়ে শেষবার খেলেছেন ২০২৩ সালের অক্টোবরে। এমনকী পরের বছর বিশ্বকাপে ব্রাজিল কোচ কার্লো আন্সেলোত্তি যে দল পরিকল্পনা করছেন, তাতে নেইমারের জায়গা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। দুই বছরের বেশি সময় তাঁর গায়ে বিখ্যাত হলুদ জার্সি ওঠেনি। যোগ্যতা অর্জন পর্বে ডাক পাননি। নেইমারের জন্য সমস্যার বিষয় হল, অ্যান্সেলোত্তির অধীনে একটা ম্যাচও তিনি খেলতে পারেননি। যার ফলে তাঁকে সেভাবে পরীক্ষা করে নেওয়ার সুযোগ পাননি ইটালিয় কোচ। বরং তিনি নেইমারের বিকল্প হিসাবে একঝাঁক তরুণকে নিয়ে দল সাজিয়ে ফেলেছেন। সেই কারণেই মনে করা হচ্ছে, আগামী বিশ্বকাপে নেইমার খেলতে পারবেন কি?
Advertisement
Advertisement



