মেঘালয়ে এইচআইভি সংক্রমণের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই রাজ্যে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ এইচআইভি পজিটিভ। সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে ৫০০ জন শিশু। পূর্ব জয়ন্তিয়া হিলস এলাকায় পরিস্থিতি সবথেকে খারাপ। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর যেসব শিশু এইচআইভি পজিটিভ, তাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই পরিবার অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল নয়। এর ফলে তারা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না। এছাড়াও লজ্জা ও কুসংস্কারও তাদের চিকিৎসা না পাওয়ার অন্যতম কারণ।
গত ২০ বছরে মেঘালয়ে এইচআইভি সংক্রমণের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এই সংক্রমণ ২০০৫ সালের তুলনায় ২২০% বেড়ে গিয়েছে। ভারতে এইচআইভি পজিটিভ মানুষের হার প্রায় ০.২১%। অথচ, শুধুমাত্র মেঘালয়ে সংক্রমণের হার প্রায় ০.৪৩%, যা ভারতের সংক্রমণের হারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। মেঘালয় এডস কন্ট্রোল সোসাইটির মতে, অসুরক্ষিত যৌনমিলনই এই সংক্রমণের জন্য দায়ী। এছাড়াও মাদক সেবনও এইচআইভি সংক্রমণের অন্যতম কারণ। উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলির মতই মেঘালয়েও অনেকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মাদক সেবন করেন। সেখান থেকেও অনেক সময় এইচআইভি ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে।
Advertisement
মেঘালয় এডস কন্ট্রোল সোসাইটির সাম্প্রতিক স্ক্রিনিংয়ে ১৩৮টি কেন্দ্রে ৬,৮৮২ জনের উপর এইচআইভি পরীক্ষা করা হয় এবং সেখানে ২৮ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মেঘালয় এডস কন্ট্রোল সোসাইটির পরিচালক জানিয়েছেন, ২০৩০ সালেরমধ্যে দেশ ও রাজ্যকে এইচআইভি মুক্তকরার জন্য সকলকে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে। ১লা ডিসেম্বর, বিশ্ব এইডস দিবসে, এই রাজ্যে একটি সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে রাজ্যের যুবক-যুবতীদের নিরাপদ যৌনমিলন, নিজে থেকে পরীক্ষা করানো এবং এইচআইভি সংক্রমণ থাকলেও কী ভাবে সুস্থভাবে জীবনযাপন করা যায়, তা সম্পর্কে সচেতন করা হবে। মানুষের মধ্যে এই রোগ নিয়ে থাকা ভ্রান্ত ধারণাগুলো দূর করার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
Advertisement



