বৈবাহিক জীবনের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনও যে সমাজকল্যাণের এক উজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে উঠতে পারে, তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন কলকাতার যুগল কিশোর গোয়েল ও সুশমা গোয়েল। বিয়ের ৫০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে রবিবার বিধাননগরে শারীরিকভাবে অক্ষম ও অসহায় শতাধিক মানুষকে কৃত্রিম অঙ্গ দান করলেন তাঁরা।
‘উমীদ কে রং’ শীর্ষক এই বিশেষ অনুষ্ঠানে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে উপস্থিত হয়েছিলেন কয়েকশো শারীরিকভাবে অক্ষম মানুষ। অনুষ্ঠানটি শুধুমাত্র কৃত্রিম অঙ্গদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। সেখানে উপস্থিত প্রত্যেকের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা-পরামর্শ এবং ফলো-আপ ব্যবস্থাও করা হয় রং প্রস্তুতকারক সংস্থা জে কে প্রোটোম্যাক্স-এর উদ্যোগে।
Advertisement
সংস্থার নির্দেশক মনীশ গোয়েল জানান, তাঁদের সংস্থা মানুষের ঘরকে রঙিন করে তোলার কাজ করে। কিন্তু তার বাইরেও মানুষের জীবনে কঠিন বাস্তব বদলে দিতে, তাদের দুঃখ-কষ্টে একটু রং আনতে সেবামূলক উদ্যোগে তাঁরা নিয়মিত যোগ দেন। তাঁর কথায়, ‘মানুষের জীবনে সঙ্কট কাটিয়ে একটু হাসি ফোটাতে পারলে তাতেই আমাদের কাজের সার্থকতা।’
Advertisement
৭৫-এর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে দম্পতি যুগল কিশোর ও সুশমা গোয়েল বলেন, জীবনের অভিজ্ঞতা তাঁদের শিখিয়েছে, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা প্রতিটি মানুষের কর্তব্য। তাঁদের আশা, ‘মানবিকতার এই প্রয়াস অন্যদেরও সমাজের পাশে দাঁড়াতে উৎসাহ দেবে।’
কৃত্রিম হলেও নতুন অঙ্গে প্রথমবার হাঁটতে পেরে বহু মানুষের মুখে ফুটে ওঠে অশ্রুমিশ্রিত হাসি। অনেকে বলেন, এতদিন পর আবার নিজের মতো হাঁটতে পারছেন, এই অনুভূতি কোনও শব্দে বোঝানো যায় না। অনুষ্ঠানের শেষে আবেগে ভাসে গোটা পরিবেশ।
৭৫–এর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে দম্পতি যুগল কিশোর গোয়েল ও সুশমা গোয়েল বলেন, মানবিকতার এই দৃষ্টান্ত সমাজের প্রতি অন্যদেরও দায়বদ্ধ হতে উৎসাহিত করবে। কৃত্রিম হলেও নয়া অঙ্গে হাঁটতে পেরে আনন্দে উৎফুল্ল বহু মানুষ।
Advertisement



