স্বাধীনতা সংগ্রামের আবেগে ভরপুর ‘বন্দেমাতরম’-এর ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতার শিশির মঞ্চে আয়োজন করা হল এক স্মরণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। গানটির জাতীয়-আত্মিক প্রেরণা, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং সমকালীন সমাজে তার গভীর প্রাসঙ্গিকতা এই অনুষ্ঠানে নতুন করে উঠে আসে।
বিশিষ্ট সাহিত্যিক শঙ্করলাল ভট্টাচার্য তাঁর বক্তব্যে জানান, স্বাধীনতা আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলো থেকে শুরু করে আজকের প্রজন্মের মননেও ‘বন্দেমাতরম’ একইভাবে অনুপ্রেরণার আলো জ্বেলে রাখে। তিনি বলেন, ‘এই গান শুধু সংগীত নয়, জাতিসত্তার মর্মবাণী।’ তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে গানটির রচনাপ্রেক্ষিত, তার সামাজিক তাৎপর্য এবং স্বাধীনতার পরেও তার ধারাবাহিক প্রভাব।
Advertisement
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে একই মঞ্চে পালিত হয় প্রথিতযশা রবীন্দ্রসঙ্গীত গুরু ও শিল্পী সুবিনয় রায়ের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী। আনন্দী কমিউনিকেশন সেন্টার ও রূপসা সাহিত্য পত্রিকার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত হয় ‘রবীন্দ্রগানে প্রেম ও সমাজ’ শীর্ষক গীতি-আলেখ্য।
Advertisement
গীতি-আলেখ্যে অংশ নেন ড. সুরজিত রায়, অদিতি গুপ্ত, শেলী বিশ্বাস ভট্টাচার্য, স্বর্ণালী পাল, শুভাশিস মজুমদার, ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য এবং সুদীপ্তা মুখোপাধ্যায়। সংকলন ও গ্রন্থনা করেন ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য। সঙ্গতে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিত রঞ্জন রায়। হৃদয়স্পর্শী সুর, আবৃত্তি ও আলো-অন্ধকারের অনবদ্য আবহ পুরো অনুষ্ঠানকে আবেগঘন করে তোলে।
এই বিশেষ অনুষ্ঠানে আনন্দী কমিউনিকেশন সেন্টারের পক্ষ থেকে সম্মান জানানো হয় বিশিষ্ট চিকিৎসক ড. পার্থসারথী মুখোপাধ্যায়কে। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রসারে তাঁর দীর্ঘদিনের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই তাঁকে এদিন বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
Advertisement



