দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পরপর দু’টি টেস্টে লজ্জার হারে ভারতীয় দল যখন বিধ্বস্ত, তখন কোচ গৌতম গম্ভীরের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কি তিনি পদত্যাগের পথে হাঁটবেন? নাকি অন্য কোনও ব্যাখ্যা দিয়ে নিজের পদটাকে আঁকড়েই রাখবেন? ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারণ মানুষও বলতে শুরু করেছেন, কোচের ভবিষ্যৎ ক্রমেই অন্ধকারে ঘনীভূত হচ্ছে। তবে তিনি এখনই পদ থেকে সরে দাঁড়াতে রাজি নন। এখন এই খারাপ সময়েই তো একজন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়। দলকে কীভাবে পুনর্গঠন করা যায়, সেই চিন্তাভাবনা থাকবে। খেলোয়াড়রা এখন অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন। এটা মনে রাখতে হবে, ক্রিকেট খেলাটা কখনওই আমি নই, ক্রিকেটটাই বড় কথা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী এক বছরে দেশের মাটিতে ভারতের টেস্ট পারফরম্যান্স অত্যন্ত দুঃখজনক। সাতটি ঘরের মাঠে টেস্টে ভারতকে হারতে হয়েছে পাঁচবার। গম্ভীর দায়িত্ব নেওয়ার পর মোট ১৮টি টেস্ট খেলেছে ভারত। তার মধ্যে ১০টি টেস্টেই ভারতের পরাজয়। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি ম্যাচে ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দু’টি ম্যাচে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছে ভারত। এতেই স্পষ্ট হয়ে গেছে ভারতীয় দলে গম্ভীরের কোচিং কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের সাফল্য এসেছে চ্যাম্পিয়ন ও এশিয়া কাপ ক্রিকেটে।
Advertisement
রাহুল দ্রাবিড় চলে যাওয়ার পরে কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীরকে আনাকে অনেকেই ভালো পদক্ষেপ বলেছিলেন। কিন্তু তাঁরা এই মুহূর্তে অন্য কথা বলছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, তরুণ দল নিয়ে ইংল্যান্ডে ভালো ফল দেখতে পাওয়া গেছে। কোচ গম্ভীরের কথা মতো বলতে হয়, টেস্টের পরিস্থিতি প্রত্যাশিত নয়। দলকে কঠিন পরিশ্রম করে উঠতে হয়। দক্ষতা, মানসিক শক্তি ও ম্যাচ টেম্পারম্যান্ট খেলোয়াড়দের সাহস দিয়ে থাকে। হয়তো সেখানে অভাব দেখা দিয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রানে হার ভারতের। ৪০৮ রানে ভারতকে হারতে হয়েছে। এখন লক্ষ্য থাকছে, আগামী দিনে বিসিসিআই পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেয়।
Advertisement
Advertisement



