• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে লালু পরিবারের ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

অমিত কাটিয়াল গুরুগ্রামের এক পরিচিত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর সঙ্গে লালু পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

ফ্ল্যাট বিক্রির নামে ক্রেতাদের থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অমিত কাটিয়ালকে গ্রেপ্তার করল ইডি। সোমবার গুরুগ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আপাতত ইডি হেফাজতেই রয়েছেন তিনি।

অমিত কাটিয়াল গুরুগ্রামের একজন পরিচিত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর সঙ্গে লালু পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। অভিযোগ, গুরুগ্রামের সেক্টর ৭০-এ ১৪ একর জমির উপর তৈরি ‘ক্রিশ ফ্লোরেন্স এস্টেট’ প্রকল্পে বহু ক্রেতাকে ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিলেও শেষ পর্যন্ত তা পূরণ করা হয়নি। এভাবে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। প্রকল্পটির দায়িত্বে ছিল অমিতের সংস্থা, অ্যাঙ্গেল ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড।

Advertisement

অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর অধীনে অভিযোগের ভিত্তিতে অমিতকে সোমবার ইডির গুরুগ্রাম জোনাল অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাঁকে বিশেষ আদালতে পেশ করলে বিচারক ছ’দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এর আগেও রেলের জমির বদলে চাকরি মামলায় অমিত কাটিয়ালকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। সেই মামলায় লালুপ্রসাদ যাদব, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামও উঠে আসে। গত মাসেই সেই মামলায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত চার্জগঠন করেছে।

Advertisement

অভিযোগ, ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রাঁচি ও পুরীর আইআরসিটিসির দুটি হেরিটেজ হোটেলের টেন্ডার একটি বেসরকারি সংস্থাকে পাইয়ে দেওয়ার বদলে লালু পরিবার দুই একর জমি নেন। পাশাপাশি ন্যূনতম দামে জমি কিনে গ্রুপ-ডি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতির অভিযোগও ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। ২০২২ সালে এই মামলায় সিবিআই চার্জশিট জমা দেয় এবং মোট ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। গত মাসেই ওই মামলায় চার্জগঠন সম্পন্ন হয়েছে। তবে লালুপ্রসাদ যাদব সহ অন্যান্য অভিযুক্তরা নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছেন।

Advertisement