ডেটা এন্ট্রির কাজ চাপিয়ে দেওয়া সহ আরও বেশ কিছু দাবিতে সোমবার সিইও দপ্তরের সামনে বিক্ষোভে দেখান বুথ লেভেল আধিকারিকদের একাংশ। এই ঘটনায় সিইও দপ্তরের সামনে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এদিন শিক্ষা অনুরাগী ঐক্যমঞ্চের বিএলও শাখার তরফে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। বিক্ষোভ শেষে সিইও দপ্তরে ডেপুটেশন জমা দেন বিএলও–রা।
অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ কাজ চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে কয়েকদিন ধরেই বিএলও–রা ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। এই আবহে এবার প্রচুর ডেটা এন্ট্রির কাজ তাঁদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসআইআর প্রক্রিয়া চলাকালীন এতদিন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিতরণ, ফর্ম পূরণে সহায়তা করা ও ফের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই ফর্ম সংগ্রহ করাই ছিল একজন বিএলও–র দায়িত্ব।
কিন্তু বর্তমানে বিএলও–দের আরও একটি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ভোটারদের গণনা ফর্মের তথ্য বিএলও অ্যাপে ডিজিটালি আপলোড করতে হবে। এই বাড়তি ডেটা এন্ট্রির কাজ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন বিএলও–দের একাংশ। এই নিয়ে কলকাতার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে চিঠি দিয়ে বিএলও–দের কাজের চাপ কমানোর আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু জবাব না আসায় সোমবার সিইও দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন বিএলও–দের একাংশ।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর–এর ফর্ম জমা দেওয়ার সময়সীমা অত্যন্ত কম। সেই সময়সীমা বৃদ্ধি না করে উল্টে আরও কাজ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত কাজের চাপে বহু বিএলও শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সেই কারণে ডেটা এন্ট্রির কাজের জন্য আলাদা করে ডেটা এন্ট্রি আধিকারিক নিয়োগ করার দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
পাশাপাশি যেকোনও অন-ডিউটির ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট লিখিত নোটিস বাধ্যতামূলক করার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
এদিন শিক্ষা অনুরাগী ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী জানিয়েছেন, অবিলম্বে বিএলওদের উপর অতিরিক্ত চাপ কমাতে হবে। প্রতিটি দায়িত্বের জন্য স্পষ্ট নির্দেশ ও পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এই সব দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন বিএলও–রা।