বীরভূম থেকে উদ্ধার প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক। মঙ্গলবার রাতে নাকা তল্লাশি চলাকালীন ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে আসা বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি আটক করল বীরভূম পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২০ হাজার জিলেটিন স্টিক। বীরভূম জেলার নলহাটি থানার অন্তর্গত সুলতানপুর-নলহাটি রোডে নাকা তল্লাশি চলাকালীন বিপুল পরিমাণ এই বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ধৃত ব্যক্তিকে। দিল্লির লালকেল্লার সামনে যে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়, তারপর থেকেই বাংলায় জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। এর মধ্যেই বীরভূম থেকে এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার যেন আতঙ্কের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দিল্লি। যার জেরে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এই ঘটনার পরেই রাজ্যের সমস্ত জায়গায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জেলায় জেলায় চলছে নাকা তল্লাশি। সেইমতো মঙ্গলবার রাতে নলহাটি থানার অন্তর্গত সুলতানপুর-নলহাটি রোডে নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেই সময়ে ঝাড়খণ্ডের পাকুরের দিক থেকে আসা একটি গাড়িকে সন্দেহ হওয়ায় আটক করে পুলিশ। আটক করার পরে গাড়িটির তল্লাশি চালায় পুলিশ। এরপরেই পুলিশ আধিকারিকরা গাড়িতে রাখা ৫০টি বস্তা উদ্ধার করে। এরপর সেই বস্তাগুলি খুললে দেখা যায়, প্রতিটি বস্তায় ভর্তি রয়েছে জিলেটিন স্টিক। এরপরই পুর্লিশ ওই বিস্ফোরকগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে গাড়িটিকে আটক করে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আটক হওয়া গাড়িটির আদতে কোনও বৈধ নথি পাওয়া যায়নি। গাড়িতে পাওয়া জিলেটিনের স্টিকগুলিও অবৈধভাবে সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে।
Advertisement
এই বিপুল পরিমাণ জিলেটিন স্টিক কীভাবে পাওয়া গেল ও এগুলি নিয়ে কোথায় যাওয়া হচ্ছিল তা জানতে ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে। বিস্ফোরকগুলি কোনও অসৎ কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে বীরভূমের পাথর খাদানে পাথর ভাঙার জন্য এই বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কিনা তার তদন্ত করছে পুলিশ।
Advertisement
Advertisement



