প্রায় দুই মাসের নীরবতা ভেঙে ফের তৎপর হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বালি পাচার মামলায় বৃহস্পতিবার প্রথম গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সকাল থেকেই জিজ্ঞাসাবাদ চলার পর রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় জি ডি মাইনিং সংস্থার প্রাক্তন ডিরেক্টর অরুণ সরাফকে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে।
গত সেপ্টেম্বরে কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে একযোগে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। সল্টলেকে জি ডি মাইনিংয়ের অফিস, ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে এক বালি–ব্যবসায়ীর বাড়ি— কোথাও বাকি ছিল না। সেই তল্লাশি থেকেই উঠে আসে অরুণ সরাফের নাম। এরপর প্রায় এক মাস কোনও বড় পদক্ষেপ না করলেও বৃহস্পতিবার আবার তাঁর বাড়িতে হাজির হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
Advertisement
দিনভর জিজ্ঞাসাবাদে পর অরুণ সরাফের বয়ানে অসঙ্গতির অভিযোগ তোলে ইডি। সন্ধ্যা নামতেই তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় ২৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। আদালতে তোলা হলে বিচারক প্রথমে এক দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেন। আজ তাঁকে ইডির বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে।
Advertisement
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অরুণ সরাফ ২০১৪ সালে জি ডি মাইনিংয়ের ডিরেক্টরের পদ ছেড়েছিলেন। তবে বিভিন্ন সময় আরও কয়েকটি সংস্থার নিয়ন্ত্রক হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। সেই সংস্থাগুলির লেনদেনে গুরুতর আর্থিক অসঙ্গতি পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ইডির দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ৭৮ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
অরুণ সরাফের আইনজীবীর অভিযোগ, ‘এই গ্রেপ্তারি ভিত্তিহীন। আর্থিক অপরাধে যে প্রক্রিয়া মেনে গ্রেপ্তার দেখাতে হয়, তা মানা হয়নি।’ ইডির তরফে পাল্টা সওয়াল করা হয়, ‘অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক বেআইনি লেনদেনের প্রমাণ রয়েছে। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেননি। তাই গ্রেপ্তারি অনিবার্য ছিল।’
এদিকে বালি পাচার তদন্তে এই প্রথম গ্রেপ্তার হওয়ায় ব্যবসায়িক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ইডির একাংশের মতে, এটি কেবল শুরু— তদন্ত এগোলে আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী ও মধ্যস্থতাকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হতে পারে।
Advertisement



