রম্যাঁ রলাঁ
পূর্ব প্রকাশিতর পর
Advertisement
কমিটি আমার আবেদনটি প্রকাশ করিয়াছিল এবং চরম দুর্দশাগ্রস্থ জার্মান শিশুদের সাহায্যার্থে অগ্রসর হইয়াছিল। যে সম্প্রদায় নিজেদের প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রীস্টান বলিয়া পরিচয় দেয়, এই একান্ত মানবসেবামূলক আবেদনের বিরুদ্ধে তাহাদের প্রতিক্রিয়াও অত্যন্ত লজ্জাজনক। (১৯২৪ সালের মার্চ মাসের লুনিভের্সেল পত্রিকায় ডাঃ দ্যুমেসিলে-এর প্রবন্ধ দ্রষ্টব্য)। (ফ্রান্স ও সুইজারল্যাণ্ড হইতে এ সম্পর্কে যে সকল অপমানকর চিঠি পাইয়াছিলাম তাহার উল্লেখ এখানে করিলাম না। সেগুলি ফাইলে আছে।)
Advertisement
২৩। রুর-এর বিজয়ীদের আশু উদ্দেশ্য যাহাই থাকুক না কেন, যে নীতি তাহারা অনুসরণ করিতেছেন কিছুকাল পরে তাহার ফল সাংঘাতিক হইবে। ফ্রান্স ও জার্মানীর মধ্যে আবার যুদ্ধ বাধিবে দ্বিগুণ ঘৃণা লইয়া এবং সে যুদ্ধে উভয়েই ধ্বংস হইয়া যাইবে। নির্যাতিতকে যতখানি অনুকম্পা করি ততখানি তনুকম্পা করি নির্যাতনকারীকেও। তাহারা তাহাদের সন্তানসন্ততিগণের জন্য ভীষণ এক ভবিষ্যতের সৃষ্টি করিতেছে। (কঁৎ ল্যুসিদি সম্পাদিত রাসেনা ইন্তেরনাৎসিওনালে ১৯২৩ সালের জুলাই মাসে লিখিত)।
ইহার অনেক পরে বের্নার লকাশকে লিখিয়াছিলামঃ ‘‘যখন ‘শান্তির’(?) সন্ধি ইউরোপের সর্বত্র যুদ্ধের অবস্থা সৃষ্টি করিয়াছে, মিলিতদের বিচ্ছিন্ন করিয়া এবং বিচ্ছিন্নদের সম্মিলিত করিয়া, তখন একনায়কত্বের (dictatorship) অভ্যুদয় যদি হয়, তাহাতে আশ্চর্য হইব না। বিজয়ী ফ্রান্স যে গাছ নিজের হাতে পুঁতিয়াছে ইহা তাহারই ফল।’’ (ল্য ক্রি দে প্যেপল্ পত্রিকায় ১৯২৯ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারী প্রকাশিত)।
২৪। ১৯২৪ সালের ৬ই মার্চ প্রিমো দে রিভেরার সামরিক কর্তৃপকক্ষ কর্তৃক ক্যানারী দ্বীপপুঞ্জে নির্বাসিত মিগেল দে উনামুনো-র পক্ষ হইতে প্রতিবাদ (১৯২৪ সালের মার্চে ইউরোপ পত্রিকায় প্রকাশিত)। ১৯২৪ সালের ৩০শে নভেম্বর ‘‘ব্যাভেরিয়ান দুর্গের রাজনৈতিক বন্দীদিগের পক্ষ হইতে জার্মানীর নিকট আবেদন।’’
২৫। ১৯২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে লিখিত, ১৫ই জানুয়ারী ইউরোপ পত্রিকায় প্রকাশিতঃ ‘‘ইউরোপীয় পাঠকের প্রতি নিবেদন’’।
‘‘সমসাময়িক ভারতবর্ষের কর্ম ও অতীন্দ্রিয়বাদ সম্পর্কিত প্রবন্ধাবলী; তিন খণ্ডে সমাপ্ত। ১ম খণ্ড, রামকৃষ্ণের জীবনী; ২য় খণ্ড, বিবেকানন্দের জীবনী; ৩য় খণ্ড, সার্বজনীন ভগবদবাণী, ১৯২৯ সালে নভেম্বর-ডিসেম্বর লিব্রারি স্তক-এ প্রকাশিত হয়।
২৬। আমার সদ্যপ্রকাশিত পুস্তকখানি যখন গান্ধীকে পাঠাই তখনই তখন এই আশঙ্কা ব্যক্ত করি যে, তাহার চিন্তাধারা আমি সবস্থানে হয় তা বুঝি নাই; যদি কোনো ভুল হইয়া থাকে তিনি দেখাইয়া দিলে আমি সংশোধন করিতে চাই। রোগমুক্তির পর যে স্বাস্থ্যনিবাসে তিনি বিশ্রাম লইতেছিলেন সেখান হইতে গান্ধী লিখিলেনঃ
আন্ধেরি, ২২শে মার্চ, ১৯২৪
প্রিয় বন্ধু, আপনার অনুগ্রহপত্রের জন্য ধন্যবাদ। আপনার প্রবন্ধে যদি আপনি এখানে-সেখানে দু’একটা ভুল করিয়া থাকেন তবে তাহাতে কি আসে যায়!
(ক্রমশ)
Advertisement



