• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

নকশাল দমনে আত্মসমর্পণের পথই শেষ সুযোগ, কড়া বার্তা সুন্দররাজের

নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, এলাকায় টানা যৌথ অভিযান, উন্নয়নমূলক কাজ এবং গ্রামের মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের ফলেই নকশালদের দাপট দ্রুত কমছে।

ছবি: এএনআই

ছত্তিশগড়ের বস্তার এলাকায় অবশিষ্ট নকশাল দলে এখনও যে কয়েকজন সক্রিয় রয়েছে, তাদের উদ্দেশে সরাসরি সতর্কবার্তা দিলেন বস্তারের আইজি পি সুন্দররাজ। তাঁর স্পষ্ট মন্তব্য, ‘যারা এখনও জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে, আমরা তাদের সকলের হদিশ জানি এবং প্রত্যেককে নজরে রাখা হচ্ছে। তাদের দিন গোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কোনও পথ নেই। নইলে অন্য নকশালদের মতোই একই পরিণতি তাদের জন্য অপেক্ষা করছে।’

সুন্দররাজ জানান, নিরাপত্তা বাহিনী বর্তমানে গভীর জঙ্গলসীমায় ধারাবাহিক তল্লাশি চালাচ্ছে এবং নকশালদের গতিবিধি সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য হাতে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘মাঠে আমাদের উপস্থিতি আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। স্থানীয় মানুষের সহযোগিতাও বাড়ছে। ফলে জঙ্গলে থাকা সশস্ত্র দলে এখন আর আগের মতো ভিত্তি নেই।’

Advertisement

আত্মসমর্পণ করা নকশালদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে আইজির মন্তব্য আরও আশাব্যঞ্জক। তাঁর কথায়, ‘ছত্তিশগড়ের পুনর্বাসন নীতি অত্যন্ত কার্যকর। এই নীতির কারণেই গত ২০ মাসে ২২০০-র বেশি নকশাল স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে।’ তিনি জানান, আত্মসমর্পণের পরে প্রত্যেককে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যাতে সমাজে ফিরে স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব হয়।

Advertisement

সূত্রের খবর, আত্মসমর্পণকারী নকশালদের কেউ কেউ এখন সরকারি প্রকল্পে কাজ করছেন। আবার কেউ কেউ কৃষিকাজ বা ক্ষুদ্র ব্যবসায় যুক্ত হয়ে নতুনভাবে নিজেদের জীবন গড়ে তুলছেন। সুন্দররাজ বলেন, ‘আমরা চাই যে, তারা পরিবার নিয়ে নিরাপদ জীবন-যাপন করুক। হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার ফলে তাদের জীবনে কোনও সুরাহা দিতে পারে না। তাই আত্মসমর্পণের পথই একমাত্র যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত।’

নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, এলাকায় টানা যৌথ অভিযান, উন্নয়নমূলক কাজ এবং গ্রামের মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের ফলেই নকশালদের দাপট দ্রুত কমছে। প্রশাসনের উপর ভরসা ফিরে আসায় স্থানীয় মানুষ এখন নকশালদের ততটা আশ্রয় দিচ্ছেন না, যা নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে বড় সুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আইজি আবারও জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা দুষ্কৃতীদের উদ্দেশে বলেন, ‘অস্ত্র রাখুন, সমাজে ফিরে আসুন। উন্নয়ন এবং শান্তির পথে হাঁটলে আমরা সবাইকে সাহায্য করব। কিন্তু হিংসা করলে কঠোর পদক্ষেপ নিতেই হবে।’

Advertisement