ছটপুজো ঘিরে এ বছরও সাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে শহরের দুই প্রধান জলাধার, রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবর। পরিবেশ ও জলদূষণ রোধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা মহানগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেএমডিএ)।
জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, গত কয়েক বছর ধরেই এই দুই সরোবরে ছটপুজোর অনুষ্ঠান আয়োজন নিষিদ্ধ। ২০২২ সালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুজো হওয়ায় এ বছর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া করা হয়েছে। কেএমডিএ সূত্রে খবর, রবীন্দ্র ও সুভাষ সরোবরে মোট প্রায় ৩০০ পুলিশ মোতায়েন থাকবে। দুই ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিক থাকবেন নিরাপত্তা তদারকির দায়িত্বে। সরোবরের চারপাশে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, প্রতিটি প্রবেশপথে থাকবে বিশেষ পুলিশবাহিনী।
Advertisement
তবে, সরোবর বন্ধ থাকায় যাতে সাধারণ ভক্তদের অসুবিধা না হয়, তার জন্য শহর জুড়ে তৈরি করা হয়েছে ৩৯টি বিকল্প ঘাট। সুভাষ সরোবর সংলগ্ন এলাকায় ঘাট তৈরির দায়িত্ব নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। প্রতিটি ঘাটেই থাকবে অস্থায়ী পোশাক পরিবর্তনের তাঁবু, বায়ো-টয়লেট, আলো, পানীয় জল এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। পুজো শেষের পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই সমস্ত ঘাট পরিষ্কার রাখবে পুরসভা। প্রতিটি স্থানে সন্ধ্যা ও ভোরের পালার জন্য আলাদা আধিকারিক নিযুক্ত করা হয়েছে, যারা নিরাপত্তা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবেন। কলকাতা পুরসভার কমিশনার ধবল জৈনের নির্দেশে ২৭ অক্টোবর দুপুর ১টা থেকে ২৮ অক্টোবর সকাল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সব আধিকারিককে তাঁদের নিজ নিজ ঘাট ও পুকুরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
ছটপুজোর আগের দিন ও মূল পুজোর দিনে হাজার হাজার ভক্ত সূর্যদেবতাকে অর্ঘ্য দিতে নদী ও ঘাটে আসেন। সেই ভিড় সামলাতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন থাকবে প্রচুর পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার। কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক জানান, ‘ভক্তদের নিরাপত্তা ও সুবিধার দিকটি মাথায় রেখেই সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছটপুজো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হোক, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
Advertisement



