সুপ্রিম কোর্ট রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সবুজ বাজি ফাটানোর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। যে কোনও ধরনের শব্দবাজির উপরেও জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পরেও রাতভর রাজধানীতে চলল দীপাবলি পালন! যার জেরে মঙ্গলবার সকালে দেখা গেল ধোঁয়াশায় ঢেকে গিয়েছে দিল্লি। বায়ুর গুণমান সূচক নেমে গিয়েছে ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে।
সকাল ৭টায় দিল্লির বাতাসের গড় বায়ুর গুণগত মান বা একিউআই ছিল ৪৫১। দিল্লির বিভিন্ন এলাকার গড় একিউআই ছিল ৪০০। যা জাতীয় গড়ের তুলনায় ১.৮ গুণ বেশি। উল্লেখ্য, গত বছর দীপাবলির পরে দিল্লির বাতাসের গড় গুণমান ছিল ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে। একিউআই ছিল ৩৫৯। সেই তুলনমায় এ বছর আরও খারাপ হয়েছে রাজধানীর আবহাওয়া।
Advertisement
পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলির রিপোর্ট অনুযায়ী, দীপাবলির রাতেও ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে ছিল বায়ুর গুণমান। নয়ডা এবং গুরুগ্রামের মতো এলাকাগুলিতেও ছিল একই চিত্র। মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বেশ কয়েকটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র আপাতত ‘রেড জোনে’ রয়েছে। উজিরপুরের একিউআই ৪৩৫, দ্বারকার একিউআই ৪২২, অশোক বিহারের একিউআই ৪৪৫ এবং আনন্দ বিহারের একিউআই ছিল ৪৪০।
Advertisement
বাতাসের গুণমান সূচক বা একিউআই শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে হলে তা ‘ভাল’ বলে ধরা হয়। গুণমান সূচক ৫১ থেকে ১০০ হলে তা ‘সন্তোষজনক’ পর্যায়ে থাকে। একিউআই ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘মাঝারি’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ হলে ‘খুব খারাপ’, ৪০১ থেকে ৪৫০ ‘ভয়ানক’ এবং ৪৫০-এর বেশি হলে ‘অতি ভয়ানক’ ধরা হয়।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর বাতাসের গুণমান ‘খুব খারাপ’ হতেই জিআরএপি-২ চালু করেছে ‘কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট’ বা সিএকিউএম। জিআরএপি হল ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ অর্থাৎ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ। জিআরএপি-২ কার্যকর থাকাকালীন রাস্তায় জল ছেটানো হয়ে থাকে। জেনারেটরের ব্যবহার কমাতে বিদ্যুতের জোগান বৃদ্ধি করা হয়। নাগরিকদের নিজের গাড়ির ব্যবহার কমাতে পার্কিংয়ের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয় ইত্যাদি।
দীপাবলির আগের দিন এবং দীপাবলির দিন বাজি পোড়ানোর জন্য সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এ ছাড়াও সর্বত্রই যাতে পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজি ফাটানো হয়, সেই নির্দেশও জারি করা হয়েছিল। এত বিধিনিষেধের পরেও আটকানো গেল না দিল্লির দূষণ।
Advertisement



